বিডি মেট্রোনিউজ॥ পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের সকল শিল্পে দূষণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে ‘জিরো ডিসচার্জ’ প্ল্যান বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এছাড়া যত্রতত্র গড়িয়া ওঠা কলকারখানা বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণের লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান রয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বেগম রহিমা আখতারের প্রশ্নের জবাবে উপমন্ত্রী সংসদে এ তথ্য জানান।
উপমন্ত্রী জানান, বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণে বর্জ্য সৃষ্টিকারী কলকারখানা/প্রকল্পের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই কার্যক্রমের আওতায় ২০১০ সালের ১৩ জুলাই হতে ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ২ হাজার ১৯১টি প্রতিষ্ঠান হতে পরিবেশ দূষণের জন্য ২১৩ কোটি ৯ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঠিক করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৩৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১৪৯টি কলকারখানায় ইটিপি স্থাপন করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
ঢাকা-১১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে উপমন্ত্রী জানান, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডে ২০০৯-১০ থেকে ২০১৫-১৬ এই সাত অর্থবছরে সরকার রাজস্ব বাজেট হতে মোট তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইন অনুযায়ী বরাদ্দকৃত অর্থে ৬৬ শতাংশ এবং সঞ্চিত ৩৪ শতাংশ অর্থের প্রাপ্ত সুদের অর্থ দ্বারা সরকারি পর্যায়ে ৩৩৪টি এবং বেসরকারি (এনজিও) পর্যায়ে ৬৩টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়াও সরকারি পর্যায়ে ৯৪টি প্রকল্প এনজিও পর্যায়ে ৫৭টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত বিতরণকৃত অর্থের পরিমাণ ২৫১৭ কোটি টাকা, অর্থ ছাড় হয়েছে ১৫৮৪ কোটি টাকা বলেন উপমন্ত্রী।