বিডি মেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ গরমে প্রাণ উষ্ঠাগত। এই পরিস্থিতি কেবল বাংলাদেশে নয়, প্রতিবেশি দুই দেশ ভারত-মিয়ানমারের পরিস্থিতি আরো খারাপ। গ্লোবাল ইন্টেগ্রেটেড ড্রট মনিটরিং এন্ড প্রেডিকশন সিস্টেম (জিডম্যাপস) এর ম্যাপে দেখা যায় এশিয়ার মধ্যে মিয়ানমার, থাইল্যাল্ড, লাওস, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনামে গরম-খরা-অনাবৃষ্টিতে জীবন-কৃষি সবই বিপন্ন। প্রতিদিনই হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে মানুষ।
এশিয়ার বাইরে আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশে বৃষ্টিপাতের দেখা নেই। দক্ষিণ আমেরিকার আর্দ্র ব্রাজিল ৩৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার কবলে রয়েছে। অনাবৃষ্টির কারণে ৪৯ ট্রিলিয়ন লিটার পানি হারিয়েছে। নাসার তথ্য বলছে, হন্ডুরাস ও গুয়াতেমালায় ৩০ লাখের বেশি মানুষ কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। ইকুয়েডর ও এল সালভাদরে অনাবৃষ্টির কারণে ৬০ লাখ লোক অপুষ্টির শিকার হচ্ছে।
আফ্রিকাতে অনাবৃষ্টি-খরার কারণে ফসল না হওয়ায় চার কোটি মানুষ খাদ্য সংকটের মুখে পড়েছে। মালাবি, মোজাম্বিক, লেসেথো এবং জাম্বিয়াতে খরা ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। ইথিওপিয়া, ইরিত্রিয়া, জেবুতি এবং সোমালিয়ায় অনাবৃষ্টিতে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। অস্ট্রেলিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিউ সাউথ ওয়েলস, সা্ুথ অস্ট্রেলিয়া, তাসমানিয়াতে বৃষ্টির দেখা মিলছে না। কুইন্সল্যান্ড ও নিউ সাউথ ওয়েলসে অনাবৃষ্টি চলছেই।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী এল নিনোর কবলে পৃথিবী। যে কারণে চলতি বছরটি যে হতে যাচ্ছে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর, এমন আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। ফলে ২০১৬ সালে ব্যাপক খরা এবং খাদ্যসঙ্কটের মুখোমুখি হতে চলেছে বিশ্ব। এ কারণে ২০১৬ সালে ক্ষুধা ও রোগবালাইয়ের প্রবণতা বাড়বে।