বিডি মেট্রোনিউজ ডেস্ক॥ মধ্যযুগের বাদশাদের মতো হারেম তৈরি করে ফেলেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন! প্রায় পাঁচশো মহিলার সেই হারেমে সবথেকে বেশি সংখ্যায় রয়েছে স্কুলপড়ুয়া কিশোরীরাই। এই বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন ওই হারেম থেকে পালিয়ে আসা এক যুবতী।
কোরিয়া থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আসার পরে একটি মার্কিন সংবাদপত্রে নিজের নারকীয় অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
ওই যুবতী বলেছেন, সারা দেশের স্কুলগুলি থেকে কিশোরীদের ধরে আনত কিমের সেনা। কিমের সঙ্গে সময় কাটানোর সঙ্গে কীভাবে তাকে খুশি করতে হবে, তার প্রশিক্ষণও দেওয়া হতো নতুন মেয়েদের।
শুধু কিমই নয়, উচ্চপদস্থ সেনানায়ক এবং কূটনীতিকদের সঙ্গ দিতেও বাধ্য করা হতো তাদের। রাজি না হলেই মারধর করার পাশাপাশি ধর্ষণও করা হতো।
নিজের নারকীয় অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে ওই যুবতী বলেছেন, ১০বছর আগে আমি কিমের সেনাদের নজরে পড়ে গিয়েছিলাম। তখন আমি ১৩বছরের স্কুলপড়ুয়া। আচমকাই এসে আমাকে স্কুল থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি কুমারী কি না, সেটাও জানতে চেয়েছিল ওরা। গত ১০ বছরে কয়েকশোবার আমাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। কিম ছাড়াও বেশ কয়েকজন সেনা অফিসারের সঙ্গে আমাকে সময় কাটাতে বাধ্য করা হয়েছে। শেষপর্যন্ত এক বন্ধুর সাহায্যে আমি পালিয়ে আসি।
কিমের শাসনে দেশের অবস্থার শোচনীয় অবনতি ঘটেছে বলে দাবি করেছেন ওই তরুণী। তিনি বলেছেন, মানুষ তীব্র দারিদ্র্যের শিকার। ইঁদুর, সাপ এবং আগাছা খেয়ে তাঁরা দিন কাটাচ্ছেন। কিন্তু কিমের সেই দিকে কোনও নজরই নেই।