অন্যদিকে ফেরদৌসের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী মোহাম্মদ সেলিম। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম দেলওয়ার হোসাইন জামিন নাকচ করে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে আদালত পুলিশের প্রসিকিউশন কর্মকর্তা পার্থ চট্টপাধ্যায় জানান।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের সহায়তায় মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে ছিলেন আইনজীবী ফাহামিদা আকতার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন ছাত্রীর প্রতিনিধিত্ব করেন।
তড়িৎ কৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌস আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কলাবাগান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা একটি মামলায় বুধবার ভোরে রমনা এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত শনিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এসআই শামীম জানান, আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদুল্লাহ আল সায়েম মঙ্গলবার রাতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। ফেরদৌসকে রমনা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হলেও কলাবাগান থানাধীন পান্থপথ এলাকায় তার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
ফেরদৌসের শাস্তির দাবিতে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তেজগাঁও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যে তড়িৎ কৌশল বিভাগের এক ছাত্র বলেন, “উনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ডিপার্টমেন্টের ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও কয়েকবার তিনি একই কাজ করেছেন।
“সর্বশেষ এ সংক্রান্ত একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করেছিলাম। এরপর তিনি ওই ছাত্রীকে চাপ দিয়ে মিথ্যা বিবৃতি লিখিয়ে নেন। আমাদের দাবি, অবিলম্বে এই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করতে হবে এবং আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।”
পরে বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করে উপাচার্য অধ্যাপক এ এম এম শফিক উল্লাহ শিক্ষক ফেরদৌসকে সাময়িক বরখাস্ত করে তদন্তের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা শান্ত হন।