বিডি মেট্রোনিউজ॥ মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় পৌছেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুণাভ চক্রবর্তী সোমবার বিকেল ৫টা ০৭ মিনিটে এ রায় বিচারিক আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পৌঁছে দেন। ট্রাইব্যুনাল থেকে রায়টি সোমবার রাতেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছানোর পর নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু করবে কারা কর্তৃপক্ষ।
একইসঙ্গে রায়টি পাঠানো হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকার জেলা প্রশাসকের (ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট) কাছে। সরকারের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে ফাঁসি কার্যকরের আদেশ দেবে কারা কর্তৃপক্ষকে। লিখিত ওই চিঠি পাওয়ার পর নির্ধারিত সময়ে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে নিজামীকে।
এর আগে দুপুর সোয়া তিনটার দিকে পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাক্ষর করেন রায় প্রদানকারী প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। অন্য তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
দুপুর সাড়ে তিনটায় প্রকাশিত হয় ২২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়।
নিজামীর করা রিভিউ (রায় পুনর্বিবেচনা) আবেদন খারিজ করে গত ৫ মে এ রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত। সর্বশেষ এ রায়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয় মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী কিলিং স্কোয়াড আলবদর বাহিনীর সর্বোচ্চ নেতা নিজামীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আইনি লড়াই। তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকরের বিষয়টিও চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছে।
সর্বশেষ ধাপে এখন কেবলমাত্র রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন তিনি। প্রাণভিক্ষা না চাইলে বা চাওয়ার পর আবেদন নাকচ হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে আর কোনো বাধা থাকবে না। অবশ্য কাশিমপুর কারাগারে দেখা করতে যাওয়া স্বজনদেরকে নিজামী জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি প্রাণভিক্ষা চাইবেন না।
আইন অনুসারে তাই সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন যেকোনো সময় নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকর করতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। সে লক্ষ্যে রোববার রাত ১২টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এনে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে নিজামীকে।