কারাগারের একজন কর্মকর্তা বলেন, সাধারণত এক আসামির ফাঁসি কার্যকরে ছয়জন জল্লাদের একটি দল রাখা হয়। এর আগে চার যুদ্ধাপরাধীর দণ্ড কার্যকরের সময় রাজু মূল জল্লাদের সহকারী হিসেবে ছিলেন।
সে সময় মূল জল্লাদের ভূমিকা পালন করা শাহজাহান অসুস্থ থাকায় এবার রাজুকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে ওই কারা কর্মকর্তা জানান।
এর আগে, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রথম যুদ্ধাপরাধী হিসাবে কাদের মোল্লা এবং ২০১৪ সালের ১২ এপ্রিল কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এরপর গত বছরের ২১ নভেম্বর একই সঙ্গে কার্যকর করা হয় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড।
বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদে দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদীদের মধ্য থেকে আগ্রহীদের কারা কর্তৃপক্ষ জল্লাদ হিসেবে বেছে নেয়। ঢাকার ছেলে রাজু কারাগারে আছেন প্রায় ১৫ বছর ধরে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গত ৫ মে রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় একাত্তরের বদর কমান্ডার নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হয়। শনিবার রাতে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নিয়ে আসা হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।
সোমবার রিভিউ খারিজের রায় প্রকাশিত হলে কারা কর্তৃপক্ষ তা পড়ে শুনিয়ে নিজামীর কাছে জানতে চায়, তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না। আদালতের সব বিচারিক প্রক্রিয়ার নিষ্পত্তি হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর আমির নিজামীর সামনে এখন কেবল ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগই বাকি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, নিজামী প্রাণভিক্ষা চাইলে তার আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এবং রাষ্ট্রপতির যে সিদ্ধান্ত দেবেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
“আর না চাইলে তার পরবর্তীতে যেটা আছে সেটা আমরা করতেছি।… আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। উনি যদি না চান, তাহলে যে কোনো সময় হয়ে যাবে।”