সীমান্তে গুলি নিয়ে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালকের ভাষ্য

বিডি মেট্রোনিউজ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গুলি করে হত্যার ঘটনা যৌথভাবে তদন্ত করবে দুই দেশ। সীমান্তে বারবার আগ্নেয়াস্ত্র  ব্যবহারের ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। ভারত থেকে গরু চোরাচালান বন্ধ হলেই সীমান্তে হত্যার ঘটনা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
ঢাকায় পাঁচদিনব্যাপী বিজিবি-বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষে সোমবার সকালে পিলখানার সদর দফতরে এ সংক্রান্ত প্রেসব্রিফিংয়ে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে বিএসএফের মহাপরিচালক কে. কে. শর্মার নেতৃত্বে ২১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ও বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদের নেতৃত্বে ২৩ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএসএফের মহাপরিচালক কে.কে. শর্মা বলেন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড কমিয়ে আনতে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার কমানোর বিকল্প নেই। আত্মরক্ষার্থে বিএসএফের গুলি চালানো ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। চোরাকারবারীরা যখন সীমান্তে হামলা চালায় তখন বিএসএফও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়।
অপরপক্ষে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ভারতই বাংলাদেশে গরু চোরাচালানীর সঙ্গে জড়িত। ভারতের চোরকারবারীরা তাদের সীমান্তে বিভিন্ন জায়গা থেকে গরু এনে জড়ো করে রাখে। তারাই ফোর্স প্রয়োগ করে সীমান্ত দিয়ে গরু বাংলাদেশের প্রবেশ করিয়ে দেয়। আর তখনই সীমান্তে গুলির ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রে ভারত যদি গরু চোরাচালানী বন্ধ করে দেয় তাহলে সীমান্তে  হত্যার ঘটনা অনেকটা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
Print Friendly

Related Posts