মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো সন্তান কমান্ডের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

জাকির হোসেন বাদশা: ঢাকার শিশুকল্যাণ পরিষদ অডিটরিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো সন্তান কমান্ডের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. শাহজাহান কবির বীর প্রতীক।

অসীম কুমার নট্টের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো অ্যাসোসিয়েশনের কো-চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অনিল বরণ রায়।

প্রধান অতিথি আলহাজ মো. শাহজাহান কবির বীর প্রতীক বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ও নৌ-কমান্ডোরা জাতির ক্রান্তিকালে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে জীবনের মায়া ত্যাগ করে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করে। আমরা যে উদ্দেশ্য ও আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলাম সেই আদর্শ ও উদ্দেশ্য এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো সন্তান কমান্ডের সদস্যরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নৌ-কমান্ডো অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অনিল বরণ রায় বলেন, ৭১-এর সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে সাড়া জাগানো নৌ-কমান্ডো যুদ্ধের কথা জাতীয়ভাবে সংরক্ষণ করা উচিত এবং নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নৌ-কমান্ডো অ্যাসোসিয়েশনের কো-চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, নৌ-কমান্ডোদের অপারেশন জ্যাকপট সারা পৃথিবীতে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।

সম্মেলনে ’৭১-এর রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডোদের মধ্যে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে নাজমুল হক শিশিরকে সভাপতি, সাংবাদিক খোরশেদ আলমকে সহ-সভাপতি, আশিকুল কবিরকে সাধারণ সম্পাদক, ফয়সাল আহমেদ খানকে সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাহমুদুন্নবীকে অর্থ সম্পাদক করে ২৩ সদস্যবিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদ গঠিত হয়।

Print Friendly

Related Posts