প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে বিশেষ করে খাওয়ার আগে ও শৌচকাজ শেষে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ায় অভ্যাস সকলের জন্যই জরুরি। বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস আজ। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘হাতের পরিচ্ছন্নতায় এসো সবে এক হই’।
প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর বিশ্ব ব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে। সুইডেনের স্টোকহোমে ২০০৮ সালের ১৫ অক্টোবর সর্বপ্রথম এই দিবসটি উদযাপন করে। পরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তারিখটি প্রতি বছর পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশে দিবসটি পালনে সঙ্গে যোগ হয়েছে স্যানিটেশন মাসেরও কর্মসূচী। কারণ অক্টোবরকে জাতীয় স্যানিটেশন মাস ঘোষণা দেওয় হয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসজনিত সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এবং ডায়রিয়ার মতো নানা রোগ থেকে রক্ষায় উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস দুটোই খুব জরুরি।
‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর-২০২২’ এবং ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস-২০২২’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত ও টেকসই স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার পূর্বশর্ত।
তিনি বলেন, স্যানিটেশন কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে এসকল কার্যক্রমে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। পানিবাহিত নানা রোগ জীবাণু মোকাবিলায় সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার গুরুত্ব উপস্থাপন এবং এক্ষেত্রে সকল প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে হাত ধোয়া কার্যক্রমে সামাজিক পর্যায়ে সকলের অংশগ্রহণ ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সকলের জন্য উন্নয়ন’ এই নীতিকে ধারণ করে স্যানিটেশন খাতের বিভিন্ন অংশীজনদের সহযোগিতায় টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বা এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমরা সফল হব মর্মে আমি আশাবাদী। করোনাভাইরাস (কোভিভ-১৯) সংক্রমণ ও অন্যান্য নানাবিধ রোগ ব্যাধি থেকে সুরক্ষায় ও এর বিস্তার রোধের সবচেয়ে সহজ, সাশ্রয়ী ও কার্যকর উপায়গুলোর একটি সাবান ও পানি দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়া এবং নিরাপদ স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়গুলো সঠিকভাবে মেনে চলা। আমাদের সময়োপযোগী কার্যক্রমের ফলে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি এ রোগের প্রাদুর্ভাব অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে।’