সাহিত্যের ছোটোকাগজ ” স্রোত” সপ্তম সংখ্যা নিয়ে প্যারিসে “সাহিত্য আড্ডা” অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৩ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যায় প্যারিসের একটি হলে স্রোত সম্পাদক কবি বদরুজ্জামান জামানের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
প্যারিস ও তার আশপাশ এলাকা থেকে কবি, ছড়াকার, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চলচ্চিত্রকার, সংগীতশিল্পী এবং সাহিত্যানুরাগীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ‘স্রোতে’র উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি ও ছড়াকার লোকমান আহমেদ আপন।
কবি নির্ঝর নৈঃশব্দ্যের ‘কুসুমের ঘ্রাণ’ কবিতাটির চমৎকার আবৃত্তির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পাঠন্মোচন সূচনা করেন বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী শম্পা বড়ুয়া। প্রধান আলোচক এবং বিশেষ আলোচক হিসেবে আলোচনা উপস্থাপন করেন যথাক্রমে চলচ্চিত্র নির্মাতা ও কবি আমীরুল আরহাম এবং সঙ্গীতশিল্পী ও কবি আরিফ রানা।
তাছাড়া স্রোত থেকে আবৃত্তি, কবিতা, প্রবন্ধ, ছড়া, অনুগল্প পাঠ এবং আলোচনা সমালোচনার মাধ্যমে তুমুল আড্ডা জমে উঠে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হওয়া এই আড্ডা চলতে থাকে রাত দশটা পর্যন্ত।
অংশগ্রহণ করেন- আবৃত্তিশিল্পী গিয়াস বাবু, পুথিশিল্পী ও কবি কাব্য কামরুল, আবৃত্তিশিল্পী মুনির কাদের, যুবনেতা এডভোকেট রমেন্দু কুমার চন্দ, চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রকাশ রায়, আবৃত্তিকার রাহুল চৌধুরী, প্রাবন্ধিক মুহাম্মদ গোলাম মোর্শেদ, নাট্যকর্মী সোয়েব মোজাম্মেল, সাহিত্যানুরাগী মোহাম্মদ আহমেদ সেলিম, সাংস্কৃতিক সংগঠক রাকিবুল ইসলাম, শিল্পী ইসরাত ফ্লোরা, শিশুশিল্পী রামিসা বাতুল, সংগঠক সুব্রত ভট্টাচার্য, হোচিমিন, আব্দুল খালিক সুমন প্রমুখ।
স্রোতের আলোচনা প্রসঙ্গে আমিরুল আরহাম বলেন-পড়তে গিয়ে দেখলাম, স্রোতে ভেসে যাচ্ছে বিশাল বটবৃক্ষের ডাল, মাঝারি গাছের গাছপালা, আবার ভরন্ত ফুলের বাগান, কোনো এক শিশু ধরে আছে হাতে সতেজ সুগন্ধি ফুল। তবে অনেক আবর্জনাও আছে।এগুলোকে যদি শৈল্পিক জালে না-ছেঁকে নেয়া হয়, তবে ‘স্রোত’ এর অস্তিত্ব রক্ষায় কঠিন হবে। স্রোত নিজেই ভেসে যাবে মহাকালের স্রোতে।
তিনি প্রতিমাসে নিয়মিত সাহিত্য আড্ডা আয়োজনের আহ্বান জানান। তাতে আমরা লেখা আলোচনা সমালোচনা এবং পড়া ও চর্চার মাধ্যমে পরিশীলিত সাহিত্য সৃষ্টির পথ সুগম করতে পারব।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে সংগীত পরিবেশন করেন প্যারিসের জনপ্রিয় দুই সংগীতশিল্পী দম্পতি কুমকুম সাঈদা এবং আরিফ রানা।
দুজনের একক পরিবেশনা ছাড়াও “আমি একবার দেখি বারবার দেখি বাংলার মুখ” সংগীতের যৌথ পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়। তারপর অনুষ্ঠিত হয় নৈশভোজ। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন- ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টর মোহাম্মদ আহমেদ সেলিম।