ন্যাশনাল হ্যাকাথন ২০২২ প্রতিযোগিতার সেরা ১০ দলকে স্বীকৃতি দিলো ন্যাশনাল অ্যাপস্টোর, বিডিঅ্যাপস। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাতে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত গালা ইভেন্টে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। রবি পরিচালিত বিডিঅ্যাপস আইসিটি বিভাগের সহযোগে এ জাতীয় হ্যাকাথনের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি । এছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস’র (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রবির সিইও রাজীব শেঠি, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমেদ এবং কোম্পানির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিডিঅ্যাপস ডেভেলপার কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ এবং প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
মোট ২ হাজার দলে ভাগ হয়ে প্রতিযোগিতায় ৫ হাজার অ্যাপ ডেভেলপার অংশগ্রহণ করেন। জাতীয় পর্যায়ের হ্যাকাথনের পূর্বে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেটে পাঁচটি আঞ্চলিক পর্যায়ের হ্যাকাথনের আয়োজন করা হয় যেখানে সারা দেশের অ্যাপস ডেভেলপাররা অংশ নেন।
আঞ্চলিক হ্যাকাথন শেষে ৩৬টি দলকে মাসব্যাপী অনলাইন মেন্টরশিপ প্রদান করে ১৫টি স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে দলগুলো ৪-৫ নভেম্বর আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের হ্যাকাথনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, যার মধ্যে থেকে সেরা ১০টি দল প্রতিযোগিতার বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত হয়।
প্রতিযোগিতার শীর্ষ দল হিসেবে নির্বাচিত হয় টিম হাকো। টিম এনইউবি ও টিম সাঙ্গু যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে। প্রতিযোগিতার শীর্ষ তিনটি দলকে পুরষ্কার হিসেবে যথাক্রমে দুই লাখ, এক লাখ পঁচিশ হাজার এবং পঁচাত্তর হাজার টাকা প্রদান করা হয়। সেরা ১০টি দলকে পুরস্কার হিসেবে সর্বমোট মোট পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। রবির চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমেদ গালা ইভেন্টে প্রতিযোগিতার এই তথ্যগুলো তুলে ধরেন।
ন্যাশনাল হ্যাকাথন বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে রবির সিইও রাজীব শেঠি বলেন, “তরুণ অ্যাপস ডেভেলপারদের উদ্ভাবনী শক্তি হল বিডিঅ্যাপসের মূল চালিকাশক্তি। ন্যাশনাল অ্যাপস্টোরের মাধ্যমে আপনাদের সবার সাথে কাজ করতে পেরে আমরা সত্যিই গর্বিত। টেকসই উপায়ে ডিজিটাল উদ্ভাবনের লক্ষ্যে আমরা একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছি। দেশের সকল প্রান্তে বিডিঅ্যাপসকে পৌঁছে দিতে সহায়তা করার জন্য আমি আইসিটি বিভাগ এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে ধন্যবাদ জানাই।”
আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেন, ”বিডিঅ্যাপস একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে দক্ষতার পরিচয় দেয়ায় আমি রবি ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ জানাই। আমি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে, তরুণ অ্যাপস ডেভেলপারদের সক্রিয় অংশগ্রহণে বিডিঅ্যাপস দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যাবে।“
ন্যাশনাল হ্যাকাথনের অংশীদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল স্টার্টআপ বাংলাদেশ, বেসিস, প্রেনিউরল্যাব, ক্রিয়েটিভ আইটি, মিয়াকি, বিডিওএসএন, এইচসেনিড, শিখবে সবাই, জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট এবং বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম।