প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে এক টুইট বার্তায় ওই ধন্যবাদ জানান।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট তার দেশের ও বাংলাদেশের পতাকা, ভালোবাসা এবং করমর্দেনর চিহ্নসহ টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ শেখ হাসিনা এবং সমগ্র বাংলাদেশের মানুষকে। ’
গত কয়েক সপ্তাহে যে মিলন আর পারস্পরিক স্নেহ দেখলাম তা ব্যাখ্যা করার মতো না, আজ এখানে দুটি পতাকাও জ্বলছে।
চলুন, এই বন্ধনকে গভীর করি। টুইট বার্তায় তিনি শেখ হাসিনার পাঠানো চিঠিও প্রকাশ করেছেন।
এর আগে গত সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) ফিফা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজকে চিঠির মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আর্জেন্টিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেজ ক্যাফিয়োরোকে। দুটি চিঠিতেই আগামী দিনগুলোতে দুই দেশে আবাসিক কূটনৈতিক মিশন চালু ও আরো জোরালো সম্পর্ক গড়ার প্রত্যাশা তুলে ধরেছে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর চিঠিতে আর্জেন্টাইন দলের জয়কে দৃষ্টিনন্দন বলে অভিহিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, ফুটবলের প্রতি আকর্ষণ ও ভালোবাসা, বিশেষ করে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার জনগণের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে। আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের জয় বাংলাদেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদযাপন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, দুই দেশের জনগণের মধ্যে নজিরবিহীন ভালোবাসা ও আকর্ষণ জোরালো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পথ দেখিয়েছে।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের ভৌগোলিক দূরত্ব সত্ত্বেও বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার জনগণ ফুটবলে একাকার। ’
কাতার লুসাইল স্টেডিয়ামে গত রবিবার রাতে বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে নিয়ে বাংলাদেশে উন্মাদনার কথাও আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। তিনি লিখেছেন, ‘গত (রবিবার) রাতে ফিফা বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলের জয়ের পর বাংলাদেশের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উল্লাস দেখে আপনি অবাক হবেন। ’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণ এবং তাঁর নিজের পক্ষ থেকে আর্জেন্টিনার জনগণ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। এই আনন্দের মুহূর্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব আরো গভীর করার জন্য বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
মোমেন লিখেছেন, ‘আমি আমাদের পারস্পরিক অগ্রাধিকারগুলো একত্র করতে এবং আগামী দিনে একে অন্যের রাজধানীতে মিশন খোলার জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। ’