২০২৩ সাল যেভাবে বরণ করলো বিশ্ব

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বর্ষবরণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফা

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বর্ণিল সাজ, আতশবাজির ঝলকানি আর বেলুন ওড়ানোর মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে। মধ্যরাতে বিভিন্ন শহরের রাস্তায় জড়ো হয়ে ২০২২ সালকে বিদায় এবং ২০২৩ সালকে স্বাগত জানিয়েছে হাজারো মানুষ।

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সময়ের দিক থেকে এগিয়ে থাকায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র কিরিবাতি সর্বপ্রথম নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে। এক ঘণ্টা পর ২০২৩ সালকে স্বাগত জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এরপর অস্ট্রেলিয়ার সিডনির রাস্তায় জড়ো হয়ে আতশবাজির ঝলকানিতে বর্ষবরণ করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। এরপর ইউরোপ, আফ্রিকা এবং এশিয়ার দেশগুলোতেও খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্‌যাপিত হয়েছে। সময়ের দিক থেকে পিছিয়ে থাকায় আমেরিকার মানুষ এখনো বর্ষবরণের অপেক্ষায় আছে।

২০২৩ সালকে স্বাগত জানাতে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের রাস্তায় জড়ো হয় মানুষ। জাপানের টোকিও শহরে বেলুন উড়িয়ে নববর্ষ উদ্‌যাপন করা হয়। হংকংয়ের ভিক্টোরিয়া হারবার আতশবাজির ঝলকানিতে ছিলো উজ্জল। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বৌদ্ধ মন্দিরেও ছিলো নববর্ষ উপলক্ষে আলোকসজ্জা ও আতশবাজির ঝলকানি।
চীনের উহানে করোনার সংক্রমণ হঠাৎ বাড়ছে। এর মধ্যেই বেলুন উড়িয়ে বর্ষবরণে অংশ নেন সেখানকার মানুষ।
লন্ডনে আতশবাজি প্রদর্শনীতে প্রয়াত ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। স্কটল্যান্ডের এডিনবরায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে নববর্ষ উদ্‌যাপনে অংশ নেয় মানুষ। মস্কোর রাস্তায় জড়ো হয়ে নববর্ষ উদ্‌যাপন করেছে রাশিয়ার মানুষ। তবে করোনাজনিত বিধিনিষেধের কথা বলে রেডস্কয়ার বন্ধ করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। ওই এলাকায় বিপুল পুলিশ মোতায়েন ছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বর্ষবরণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফা।

Print Friendly

Related Posts