আবু নাঈম: টানা কয়েকদিন ধরে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় জবুথবু প্রকৃতি। তাপমাত্রার আরও অবনতি হয়ে নেমে এসেছে ৬ এর ঘরে।
ফলে কনকনে শীতে চরম বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
এর আগে, সোমবার একই সময়ে রেকর্ড হয়েছিলো ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত এক সপ্তাহ ধরে জেলা জুড়েই সূর্যের দেখা মিলছে দেরিতে। দিনভর রোদ থাকলেও তেজ নেই তেমন। হিমেল বাতাসের মধ্যেই মাঠে-ঘাটে কাজ করছেন কর্মজীবীরা। তবে সন্ধ্যার পর পরই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ব্যস্ততম এলাকাগুলো।
বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। ফলে শ্রমজীবিরা সময়মত কাজে যেতে পারছেন না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেলের পর থেকে আবারও বাড়ছে শীতের দাপট। বিপাকে যানবাহন চালকরাও। তাদেরকে সকালের দিকেও হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই শীতজনিত রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, এ জেলার উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। উত্তরদিক থেকে হিমালেয়ের হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। সামনে আরো কয়েকদিন শৈত্যপ্রবাহ থাকবে বলে জানান তিনি।
এদিকে দিনাজপুরে তীব্র শীত আর কনকনে ঠাণ্ডায় কাঁপছে দিনাজপুরের মানুষ। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছে না। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৮৯ শতাংশ।
সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান।
তিনি জানান, গতকাল (সোমবার) একই সময় তাপমাত্রা ছিলো ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৪ শতাংশ।