বিডিমেট্রোনিউজ॥ জীবনে যত বৈচিত্র্য, পরিচয়েও তত বিশেষণ নিয়ে বাংলা সাহিত্য জগতে স্মরণীয় হয়ে আছেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম; ১১৭তম জন্মদিনে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় তাকে স্মরণ করল দুই বাংলা।
জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তার পেইজবুক পাতায় কবিকে স্মরণ করেছেন।
বুধবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কবির সমাধিস্থলে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। সকাল পৌনে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপার্চায অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং ছাত্রী-ছাত্রীরা নজরুলে কবরে অর্পণ করেন শ্রদ্ধার ফুল।এরপর একে একে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় কবি পরিবার, বাংলা একাডেমি, নজরুল একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সমাধি প্রাঙ্গণে উপাচার্যের সভাপতিত্বে স্মরণ সভা হয়। উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “নজরুলের সাহিত্যকর্ম সভ্যতাকে সমৃদ্ধ করেছে। তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে সমাজের সব সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। আমাদের সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ করে এগিয়ে যেতে হবে। এটা জাতীয় কবির স্বপ্ন ছিল।”
কবির নাতনি মিষ্টি কাজী বলেন, “শুধু একদিন দাদুকে স্মরণ করলে হবে না, সারা বছর তাকে স্মরণ করা প্রয়োজন।”
এর আগে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে থেকে উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বের হয়, যা শেষ হয় কবির সমাধি প্রাঙ্গণে। পরে সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃধর্মীয় ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপ কেন্দ্র (সিআইআইডি) এবং বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আরও একটি শোভাযাত্রা হয়।
এ বছর জাতীয় কবির জন্মজয়ন্তীর মূল আয়োজন ছিল চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। ওই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বিরূপ আবহাওয়ার কারণে তার যাওয়া হয়নি। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নজরুল ইন্সটিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও জাতীয় কবির পৌত্রী খিলখিল কাজী।