বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার থেকে পবিত্র রজব মাস গণনা শুরু হবে। সে হিসেবে ১৮ ফেব্রুয়ারি রোববার দিবাগত রাতে পবিত্র শব-ই-মিরাজ পালিত হবে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মুনিম হাসান ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মুনিম হাসান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. ছাইফুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন, ঢাকা জেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ মামুনুল হক, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল হক ভুঞা, সহকারী-ওয়াকফ প্রশাসক মো. শাহরিয়ার হক, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান প্রমুখ। (নাম জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে নয়)।
শব-ই-মেরাজ উপলক্ষে দেশের সকল মসজিদ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং সামষ্টিক উদ্যোগে মহানবীর (সা.) মিরাজ সংক্রান্ত আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া-মাহফিলের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
প্রসঙ্গত, ১৪০০ বছরেরও আগে মানুষকে আলোর পথ দেখাতে পৃথিবীতে আগমন করেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। চল্লিশ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন তিনি। নবুয়ত প্রাপ্তির একাদশ বছরে আরবি রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে মহান আল্লাহ তায়ালার বিশেষ মেহমান হিসেবে ফেরেশতা জিবরাঈলের (আ.) সাথে আরশে আজিমে আরোহণ করেন বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত মহানবী (সা.)।
তারপর থেকে মুসলমানদের কাছে রাতটি বরকতময় রাত হিসেবে পরিচিত। এই রাতে স্রষ্টার নৈকট্য লাভের জন্য মুসলমানরা ইবাদতে মশগুল থাকেন