ময়নাতদন্তে বিলম্বে তনুর বাবার উকিল নোটিস

বিডিমেট্রোনিউজ কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দিতে ‘ইচ্ছাকৃত’ বিলম্বের অভিযোগে তিন চিকিৎসকের নামে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন তনুর বাবা ইয়ার হোসেন। তার পক্ষে জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী ডাকযোগে ওই নোটিশ পাঠান।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোহসীনুজ্জামান চৌধুরী, ফরসেনিক বিভাগের প্রধান কে পি সাহা এবং তনুর প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক শারমীন সুলতানা বুধবার নোটিস পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তনুকে হত্যার আগে ধর্ষণের বিষয়টি ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়ার পরও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দিতে বিলম্বের কারণে দেশজুড়ে সমালোচনার মধ্যে এই নোটিস দেওয়া হল।

গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় নিজের বাসার কাছে খুন হন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ ধর্ষণের সন্দেহের কথা জানালেও ১৫ দিন বাদে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক দলের দেওয়া প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তেমন কোনো প্রমাণ না পাওয়ার কথা বলা হয়।

এরপর আদালতের নির্দেশে গত ৩০ মার্চ তনুর লাশ কবর থেকে তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হয়। এরপর প্রায় দুই মাস হতে চললেও সে প্রতিবেদন আর পাওয়া যায়নি।

এদিকে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সংস্থা সিআইডির বিশেষ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দ গত ১৬ মে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ডিএনএ পরীক্ষায় তারা ধর্ষণের আলামত পেয়েছেন। সেই আলামতের ভিত্তিতেই মামলার তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোহসীনুজ্জামান বলেন, তনুর মৃতদেহের প্রথম ময়নাতদন্তে ধর্ষণের আলমাত না পাওয়া এবং দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে ‘কালক্ষেপণ করায়’ কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে ওই নোটিসে। নোটিস পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলে সেখানে লেখা আছে।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts