পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সেনাশাসক পারভেজ মোশাররফ গত বছরের জুনে পারভেজ মোশাররফ গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সে সময় তিনি ভেন্টিলেটরে ছিলেন বলেও গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। এমনকি তার মৃত্যুর গুজবও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে তা নাকচ করা হয়েছিল। সূত্র: ডন।
মোশাররফের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তার পরিবার তখন একটি বিবৃতি দিয়েছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, তিনি ভেন্টিলেটরে নেই। অসুস্থতাজনিত (অ্যামাইলয়েডোসিস) জটিলতার কারণে তিনি গত তিন সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। শারীরিক অবস্থা ক্রমশ জটিলতর হচ্ছে এবং বিভিন্ন অঙ্গ অকার্যকর হয়ে যাচ্ছে। সেই সব অঙ্গ আর কার্যকর করে তোলা সম্ভব নয়। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।
২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো পারভেজ মোশাররফের অসুস্থতার কথা জনসম্মুখে প্রকাশিত হয়। তখন অল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এপিএমএল) জানিয়েছিল, তিনি বিরল রোগ অ্যামাইলয়েডোসিসে ভুগছেন। মানবশরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ও টিস্যুতে অ্যামাইলয়েড নামক একটি অস্বাভাবিক প্রোটিন তৈরির কারণে অ্যামাইলয়েডোসিস রোগ হয়। এই রোগ হলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও টিস্যুগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়, পারভেজ মোশাররফ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দুবাইয়ের ‘আমেরিকান হসপিটাল’-এ ভর্তি ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। রোববার (৫ জানুয়ারি) দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার বয়স হয়েছিলো ৭৯ বছর।
পারভেজ মোশাররফ ১৯৪৩ সালের ১১ আগস্ট ব্রিটিশ ভারতের দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালের ১৯ এপ্রিল তিনি কাকুলের পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি থেকে কমিশন পান। তিনি ১৯৯৮ সালে জেনারেল পদে পদে উন্নীত হন ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান।
১৯৯৯ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের শাসক ছিলেন। ২০১৯ সালে তাকে দেশদ্রোহীতার দোষে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। প্রাণদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে মৃত্যুদণ্ড বাতিল হয়।