জ,ই বুলবুল: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে নৌকায় জয় ধরে রাখতে বঙ্গবন্ধুর সহচর আগরতলা যড়যন্ত্র মামলার আসামি বীর মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট মুজিবুর রহমানের সন্তান, নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলকে আবারও নৌকা প্রতীকে পেতে চান তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
এমনকি তাকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চেয়ে ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নবীনগর উপজেলার উন্নয়নের তালিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারনা চালানো হচ্ছে। তাদের দাবী, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনেক চ্যালেঞ্জিং, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হলে এই আসনে ফয়জুর রহমান বাদলের কোন বিকল্প নেই। বিগত সময়ে তিনি নবীনগরে ব্যাপক উন্নয়ণমূলক কাজ করেছেন যা জনগণের কাছে স্বপ্ন নয় দৃশ্যমান, সর্বমহলের মানুষের কাছে রয়েছে তার গ্রহণযোগ্যতা ও ক্লিন ইমেজ, ভোটের মাঠে গড়ে তুলেছেন শক্ত অবস্থান।
তৃণমূলের নেতারা জানান, ২০১৮ সালে সারাদেশে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার তৈরি হওয়ায় বিজয়ী হয়ে এসেছেন দলীয় প্রার্থীরা। সেই নির্বাচনে প্রার্থীদের যোগ্যতা নিয়েও তেমন ভাবতে হয়নি, তবে ২০২৪ সালের দ্বাদশ নির্বাচন হবে চ্যালেঞ্জিং। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সরকার গঠন করতে হলে নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিপুল টাকার মালিক এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সখ্য আছে কিন্তু সর্বমহলে গ্রহণযোগ্যতা নেই, স্থানীয় নির্বাচনে নৌকা বিরোধী ছিলো এমন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিলে-তা হবে আত্মঘাতী। প্রার্থী নির্বাচন করতে হবে সমাজে যাদের ক্লিন ইমেজ, রাজনৈতিক ঐতিহ্য, সংগঠনের জন্যে কতটুকু ত্যাগ, সাংগঠনিক দক্ষতা ও দলের আদর্শের প্রতি কতখানি অনুগত- এসব খতিয়ে দেখে প্রার্থী বাছাইয়ে বিশেষভাবে সচেতন হতে হবে। তবে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর তৃণমূল নেতাদের আস্থা রয়েছে।
তাদের মতে, শেখ হাসিনা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সবসময় খোঁজ-খবর রাখেন। সুতরাং যোগ্যতা-অযোগ্যতার বিষয়টি তিনি ভালোভাবেই ওয়াকিবহাল। তাই তার পছন্দের প্রতি তৃণমূল নেতাদের আপত্তি থাকবে না বলে জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয় নেতারা বলেন, এ আসনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে তৃণমূলের গ্রহণযোগ্য ও সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য ব্যাক্তিকে মনোনয়ন দিতে হবে, সেই বিবেচনায় ফয়জুর রহমান বাদলের উপরই আস্থা রাখছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ এলাকার সাধারণ মানুষ। তিনি নবীনগরবাসীর কাছে বাদল ভাই হিসেবে পরিচিত, বিগত সময়ে নবীনগরে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করে এলাকায় সুমান অর্জন করে ভোটের মাঠে গড়ে তুলেছেন শক্ত অবস্থান। আগামী দিনে উপজেলায় সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং চলমান উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে ও স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সহযোগী হতে ও নবীনগরের অসমাপ্ত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোকে দ্রুত সমাপ্ত করে নবীনগরকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে ও নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে বাদল ভাইকে দ্বাদশ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে দেখতে চাই।
তারা আরও বলেন,আমাদের বিশ্বাস, ফয়জুর রহমান বাদলের সর্বমহলের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও ক্লিন ইমেজ রয়েছে, তার মতো প্রার্থীকে সারা দেশে মনোনয়ন দেওয়া হলে আবারও আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আসবে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ফয়জুর রহমান বাদল নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে এই আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন। ইতিমধ্যে স্বীয় কর্মে জনপ্রিয় নন্দিত যিনি।
তৃনমূল পর্যায়ের ভালোবাসায় সিক্ত জনাব বাদল বলেন, নবীনগরবাসীর আন্তরিক ভালোবাসা ও সহযোগিতা আমার জীবনের পরম সঞ্চয় হয়ে থাকবে।