রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত সাততলা ভবন থেকে আরও দুই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১৯ মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
বুধবার (৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আনিকা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মমিনুদ্দিন সুমন এবং অজ্ঞাত আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক জানান, ‘এখন পর্যন্ত ১৯টি মরদেহ তারা পেয়েছেন। সবশেষ বিকেলে আরও দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।’
এর আগে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেলে গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারের নর্থ-সাউথ রোডের ১৮০/১ হোল্ডিংয়ে সাততলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
সাততলা যে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার তিনতলা পর্যন্ত পুরোটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে স্যানিটারি সামগ্রী আর গৃহস্থালী সামগ্রীর বেশ কয়েকটি দোকান ছিল। বিস্ফোরণে দেয়াল ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ভেতরের জিনিসপত্র ছিটকে বাইরে বেরিয়ে আসে। ভবনের উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশের কয়েকটি ভবনও।
পাশের সাকি প্লাজা নামে পাঁচ তলা ভবনের ওপরে চারটি ফ্লোরে ব্র্যাক ব্যাংকের গুলিস্তান শাখা এবং ব্র্যাক ব্যাংকের এসএমই সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় কাঁচ ভেঙে ব্যাংকের অফিস কক্ষগুলোর পর্দা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।
বিস্ফোরণের পরই উদ্ধার কাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থল থেকে আহতদের হাসপাতালে নেয়ার কাজ করেছে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও স্থানীয়রাও উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন। বিস্ফোরণে নিহত ১৯ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্যাকেটবন্দি করে রাখা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী। তবে সবার পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নিহতরা হলেন: মুনসুর, আলামিন, আবু বক্কর সিদ্দিক, নাজমুল হোসেন, রাহাত, ওবায়দুল হাসান, নুরুল ইসলাম, হৃদয়, মাইনুদ্দিন, মমিনুল, নদী, আকুতি বেগম, ইসমাইল হোসেন, ইছহাক মৃধা, সুমন, আব্দুল হাকিম ও মমিনুদ্দিন সুমন। এ ছাড়া আরও দুজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।