কানাডার টরন্টোতে যোশে ম্যারিও গুইলোম্বাকে স্থানীয় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। একজন নারীকে পাঁচবার যৌন নিপীড়ন এবং সেই নারীকেই দু’বার আটকে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার তাকে আটক করা হয়। পুলিশের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, ৬৪ বছরে যোশে ম্যারিও গুইলোম্বা ‘কানাডীয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানইজেশনের (সিএইচআরআইও) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট। এটি মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে। কয়েক বছর আগে সিএইচআরআইও নামের এই সংগঠনটি বেগম খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননা দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় এসেছিল।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক সংবাদ সম্মেলনে কানাডার ওই সংগঠনের দেওয়া ক্রেস্ট ও সনদ সাংবাদিকদের দেখান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে তিনি গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসায় গিয়ে তার হাতে ওই সম্মাননাপত্র পৌঁছে দেন। যে সম্মাননা সনদ সংবাদ সম্মেলনে দেখানো হয়েছে, তাতে লেখা ছিল সিএইচআরআইওর ট্রিলিয়াম অ্যাওয়ার্ড হিসেবে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। দলটি সাড়ে ৩ বছর পর এমন পুরস্কার পাওয়ার তথ্য জানায়।
কানাডার স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র ভিক্টর কোয়াং সিবিসিকে জানান, সন্দেহভাজন মারিও গুইলোম্বা এই প্রতিষ্ঠানের জন্য সুপরিচিত। ২৫ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ অভিবাসন সংক্রান্ত পরামর্শ সেবা নেওয়ার জন্য সিএইচআরআইওর অফিসে যান। তখন মিটিং চলাকালে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
ভিক্টর কোয়াং বলেন, ‘অভিযোগগুলো হলো যে তাকে যৌন নিপীড়ন করা হয়। সেই সঙ্গে সেখানে তাকে জোর করে আটকে রাখা হয়।’ এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য সিএইচআরআইওর অফিসে যোগাযোগ করে সিবিসি নিউজ। প্রতিষ্ঠানটির অফিসে ফোন করা হলে একজন ব্যক্তি ফোন ধরে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। তাবে তিনি বলেন, এগুলো শুধুই অভিযোগ।
গত বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) অভিযুক্ত গুইলোম্বাকে ১০০০-ফিঞ্চ এভিনিউতে টরন্টো ওয়েস্ট কোর্টে হাজির করার কথা ছিল বলে জানিয়েছে সিবিসি নিউজ। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের ধারণা আরো কয়েকজন ভুক্তভোগী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকতে পারেন।
সিবিসি নিউজ বলছে, তার ফেসবুক প্রোফাইল অনুসারে, গুইলোম্বা মানবাধিকার কাজের জন্য এবং অভিবাসন সংক্রান্ত সহায়তা করার জন্য অসংখ্য পুরস্কার এবং স্বীকৃতি পেয়েছেন।