এসডিজি বাস্তবায়নে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাশ জরুরী, বলেছেন এসডিজি’র মূখ্য সমন্বয়ক আখতার হোসেন।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) তার সভাকক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাশ’ খসড়া বিষয়ক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
খসড়া প্রস্তাবনার পক্ষে ১৬৯ জন সংসদ সদস্যসহ দেশের সর্বস্তরের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ১৬ হাজারের বেশী জনমত মন্ত্রীসভা ও সংসদে উপস্থাপন ও অনুমোদনের জন্য সমর্থন দেয়।
পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে ডরপ’র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর রুবিনা ইসলাম এসডিজি ৩.৪ লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের মধ্যে তামাক জনিত অসংক্রামক রোগে মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে কমিয়ে আনা এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এসডিজি সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট প্রকল্প ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়টি উপস্থাপন করেন।
সভায় ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর লিড পলিসি এডভাইজার ও প্রাক্তন সচিব মোস্তাফিজুর রহমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ৬ টি সংশোাধনী বিষয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন, কার্যালয়ের যুগ্ম সচিব মুনীর, সোহেল আহমেদ এবং প্রকৌশলী মো. সোহেল রানা খান, প্রোগ্রাম ম্যানেজার আব্দুল সালাম মিয়া এবং ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দি রুরাল পূওর-ডরপ’র নির্বাহী উপদেষ্টা ও অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব আজহার আলী তালুকদার, প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এএইচএম নোমান ও শৌল বৈরাগী আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন।
সভায় সভাপতি এসডিজি’র সার্বিক দিক তুলে এর ৮নং এজেন্ডা ”শালিন কাজ এবং অর্থননৈতিক বৃদ্ধি” কে কেন্দ্র করে সারাদেশে এর বাস্তবায়ন লক্ষ্যে সচেতনতা কার্যক্রম চালাবেন বলে জানান।
এ প্রেক্ষিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রানালয়ের বাস্তবায়িত পাইলটকৃত ‘মাতৃত্বকালীন ভাতা কেন্দ্রীক স্বপ্ন প্যাকেজ’র আওতায় ‘মা সংসদ’ প্লাটফরম মাধ্যমে এর সফলতার ভিডিও চিত্র ‘স্বপ্ন মা সেরা ১০’ বাস্তবায়ন সহযোগি ডরপ উপস্থাপন করে।
এতে এসডিজি ১নং লক্ষ্যমাত্রা দারিদ্র্য বিমোচনে স্বপ্ন প্যাকেজ মডেল আওতায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আবাসন, কর্মসংস্থান, সঞ্চয় ও পরিবেশ বিষয়ক সার্বিক টেকসই উন্নয়নে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ১৭ টির মধ্যে ৯ টির সরাসরি সুফল পাওয়া যায় বলে জানানো হয়।
সভায় এএইচএম নোমানের লেখা ‘চলার পথের কথা’ বই এবং ‘একের ভেতর ১৭ এসডিজি লক্ষ্য পূরণ’ প্রাসঙ্গিক পুস্তিকাদি প্রদান করা হয়।
সভা শেষে মুখ্য সমন্বয়ক আখতার হোসেন ভবিষ্যতে সার্বিক বিষয়ে সামাজিক সংগঠন – দায়বদ্ধ ব্যাক্তিবর্গ ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে কাজ করা এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাশ জরুরী বলে মন্তব্য করেন।
সূত্র: শৌল বৈরাগী, মিডিয়া সমন্বয়কারী, ডরপ