প্রধান অতিথি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড: আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল (ডান থেকে ৩য়) নির্দেশিকাটি অন্যান্য অতিথির সাথে উন্মোচন করেন
ঢাকা, ৩০ মার্চ : ‘মানবপাচারের শিকার সারভাইভারদের যথাযথভাবে সমাজে পুনঃএকত্রীকরণের মাধ্যমে অনেকাংশেই পুনরায় পাচার হওয়ার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করা সম্ভব। এক্ষেত্রে সকল সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় জনগণকেও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একসাথে কাজ করতে হবে। আর এই নির্দেশিকা ব্যবহারের মাধ্যমে পাচারের শিকার নারীপুরুষ ও শিশুদের যথাযথ সুরক্ষা সেবাপ্রদানের মাধ্যমে সমাজে সম্মানজনক পুনঃএকত্রীকরণ নিশ্চিত করবে।’
‘মানব পাচার সারভাইভার সেবা নির্দেশিকা: চিহ্নিতকরণ থেকে পুনঃএকত্রীকরণ’ মোড়ক উম্মোচন অুনষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সারা পৃথিবীতে মানব পাচার একটি বড় অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত। যা একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ ও দিনদিন বেড়েই চলেছে।সমাজ সেবা অধিদপ্তর পাচারের শিকার ব্যক্তিদের আশ্রয় সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি সুরক্ষা সেবা নিশ্চিত করণে কাজ করছে।তিনি এই নির্দেশিকাটি প্রণয়নে সমাজসেবা অধিদফতরকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করায় ইউএসএআইডি ও উইনরক ইন্টারন্যাশনালকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সম্মূখ সারিতে কর্মরত ব্যক্তিদের এই নির্দেশিকা বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুরক্ষা সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাাতিক কনফারেন্স সেন্টারে ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে উইন্রক ইন্টারন্যাশনাল বাস্তবায়িত ‘ফাইট স্লে ভারী অ্যান্ড ট্রাফিকিং-ইন-পারসনস্ (এফএসটিআইপি) অ্যাকটিভিটি’র কারিগরি সহযোগিতায় সমাজ সেবা অধিদপ্তর আয়োজিত এ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএসএআইডি’র অফিস অব ডেমোক্রেসি, হিউম্যানরাইটস্ ও গভর্নেন্স-এর টীম লীড হাবিবা আখতার এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মহাপরিচালক ড. মো. বাশিরুল আলম।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফএসটিআইপি অ্যাকটিভিটির ভারপ্রাপ্ত চীফ অব পার্টি সুসান স্টেম্পার। তিনি মানব পাচার সারভাইভার সেবা নির্দেশিকা’ প্রণয়নের পটভূমি উপস্থাপন করেন।
মানব পাচারসার ভাইভার সেবা নির্দেশিকা: চিহ্নিতকরণ থেকে পুনঃএকত্রীকরণ বিষয়ে একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রটেকশন ম্যানেজার মো. নজরুল ইসলাম দিপ্ত।
অন্যান্য অতিথিগণ তাদের বক্তব্যে জানান, বাংলাদেশ সরকার মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমনে আন্তরিক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ এর ফলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক ট্রাফিকিং-ইন-পারসন্স রিপোর্ট ২০২০ হতে ২০২২ পর্যন্ত বাংলাদেশ পরপর ৩য় বারের মত টিয়ার ২ তে অবস্থানকরছে। এটি বাংলাদেশের জন্য গৌরবের বিষয়।সকলে ইইউএসএআইডি ও উইনরককে কারিগরি সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশ সরকারকে মানবপাচার প্রতিরোধের পাশাপাশি পাচারের শিকার নারী, পুরুষ ও শিশুদের সুরক্ষা সেবা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করছে। এরফলে মানবপাচারের ঘটনা কমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনধি, ইউএসএআইডি’র কর্মকর্তা, জাতিসংঘ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ের এনজিও প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।