হিরো আলম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেন পক্ষ-বিপক্ষে ঝড় চলছে। এবার সে ঝড়ে গা ভেজালো ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাও। এ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি এখানে হুবহু তুলে দেয় হলো-
হিরো আলমের উত্থান কুরুচি, অশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির উত্থান— এমনই মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের বর্ষীয়ান নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ। এতে খেপে গিয়েছেন হিরো আলমের অনুরাগীরা। তাঁরা চাইছেন, হিরো পাল্টা কিছু বলুন, প্রতিবাদ করুন। মানহানির মামলা করার পরামর্শও দিয়েছেন তাঁর সুহৃদরা। কিন্তু হিরো কি তা ভাবছেন?
চেহারা ও স্বাস্থ্য নিয়ে তাঁকে নানা ধরনের বিদ্রুপ-কটূক্তির মুখোমুখি হতে হয়। তবে এ সব নিয়ে বিচলিত হন না বাংলাদেশি অভিনেতা এবং গায়ক হিরো আলম। এ বিষয়ে একেবারে উদাসীনও নন তিনি। সমাজে নিজেকে চলনসই করে তুলতে যেমন শরীরের যত্ন নেন, বাড়াতে চান চেহারার সৌন্দর্যও। কিন্তু একসঙ্গে দু’টো কাজের পরিকল্পনা করতে গেলেই গোলমাল হয়ে যায় বলে জানালেন হিরো আলম। মামুনুরের ঘৃণাবর্ষণের পিছনেও মূল কারণ তাঁর ‘অপ্রীতিকর’ চেহারা, এমনই মনে করছেন হিরো।
বাংলাদেশের এক সংবাদ সংস্থাকে হিরো আলম বলেন, “সব সময় আমায় দুটো জিনিস শুনতে হয়। এক, আমার চেহারা ভাল না। দুই, আমি দেখতে ভাল না, বা আমার শারীরিক গঠন ভাল না। তাই এই দুটোরই যত্ন আমি নেওয়ার চেষ্টা করি।”
তবে, চাইলেই কি আর পারা যায়! হিরোর দাবি, সমালোচনার মুখোমুখি হতেই হয় তাঁকে। অকপটে জানান, নানা লোকের কথা শুনতে গিয়ে গোলমাল হয়ে যায়। চেহারা ভাল করার দিকে মন দিলে অন্য বিষয় নিয়ে সমালোচনা আসে, ঝামেলায় পড়ে যান তিনি। কী করে আর চেহারা ভাল হবে তাঁর?
মামুনুরের মন্তব্য হিরোর কানে এসেছে। প্রতিবাদ করার বদলে তিনি বললেন, “তিনি আমার বাবার মতো, তাঁর বিরুদ্ধে আমি কখনওই মামলা করব না।”
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে হিরো আলমের সমালোচনা করেন অভিনেতা মামুনুর। বলেন, “আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে গিয়েছি। সেখান থেকেই হিরো আলমের মতো এক জন মানুষের উত্থান হয়েছে।”
মামুনুর আরও বলেন, “হিরো আলমদের উত্থান কুরুচি, কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির উত্থান। এই উত্থান কী ভাবে রোধ করা যাবে, এটা যেমন রাজনৈতিক সমস্যা, তেমনই আমাদের সাংস্কৃতিক সমস্যাও বটে।”
প্রবীণ অভিনেতার এমন মন্তব্যের পরই বিতর্ক দানা বাঁধে। সমাজমাধ্যমে এক দল মামুনুরকে সমর্থন করছেন। আবার এক অংশের বক্তব্য, মামুনুর এ ভাবে বলতে পারেন না। হিরো আলমকে অকারণে ছোট করা তাঁর অন্যায় বলেই মনে করছেন হিরোর অনুরাগীরা।