সাভারে রানা প্লাজা হত্যাকাণ্ডের মাসব্যাপী আয়োজনের শেষ অনুষ্ঠান সোমবার

জ. ই বুলবুল : আগামীকাল সাভারে রানা প্লাজা হত্যাকাণ্ডের ১০ বছরের মাসব্যাপী আয়োজনের শেষ অনুষ্ঠান।
পালিত হবে শ্রমিক অধিকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে সারা দুনিয়ায় রানা প্লাজা দিবস পালন করো, মৃতদের স্মরণ করো, জীবিতদের জন্য লড়াই করো, ২৫ হাজার টাকা মজুরি করো, রানা প্লাজা হত্যাকাণ্ডে দোষীদের ছাড় নয়, সর্বোচ্চ শাস্তি চাই বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি এই স্লোগান নিয়ে।
আগামীকাল সোমবার (২৪ এপ্রিল)  সকাল সাড়ে ৯ টায় রানা প্লাজা হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর উপলক্ষে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির রানা প্লাজার সামনে প্রতিবাদী র‍্যালী করবে ও শ্রদ্ধাঞ্জলী জানাবে। সারা দুনিয়া শ্রমিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে মে দিবস, নারী দিবসের মতো ২৪ এপ্রিল পালন করা এবং দোষীদের সব্বোচ্চ শাস্তিসহ ৭ দফা দাবিতে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি দিবসটি পালন করবে রানা প্লাজার স্বজন ও আহত শ্রমিকদের সাথে নিয়ে।
প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত থাকবেন সংগঠনের সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবীর সাহা, নিহত আঁখি আক্তারের মা নাছিমা বেগম, আহত শ্রমিক রূপালী আক্তার, নিহত শ্রমিক শাওনের বাবা আজিজুর রহমান ও অন্যান্যরা।
সারা দুনিয়ায় শ্রমিক নিরাপত্তায় রানা প্লাজা পালন করুন ও ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে এক হোন এই আহবান থাকবে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির।
নীচে ৭ দফা উল্লেখ করা হলো:
 ১. সোহেল রানাসহ সকল দোষীদের ছাড় নয়, সব্বো‍র্চ্চ শাস্তি চাই। সকল দোষীদের পরিচয় জনগনের সামনে আনতে হবে।
২. রানা প্লাজার নিহত শ্রমিকের প্রতিনিধি ৪০ লাখ পোশাক শ্রমিকের জন্য অবিলম্বে মজুরি বোর্ড ও ২৫ হাজার টাকা মজুরি চাই।মজুরি বৃদ্ধির আগ পর্যন্ত ৬০% মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে।
৩. ভিক্ষা নয়, ক্ষতিপুরণের আইন বদল করে একজীবনের ক্ষতিপুরন দিতে হবে।
৪.  আহত শ্রমিকদের দীর্ঘমেয়াদী শারিরীক ও মানসিক ক্ষতর দায়, চিকিৎসাভার ও প্রয়োজনীয় পূর্ণবাসন এর দায়িত্ব মালিক-সরকার ও বায়ারকে নিতে হবে।
৫. রানা প্লাজা এলাকা যথাযথ সংরক্ষন ও স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করতে হবে।
৬. সকল শ্রমিকদের জন্য মালিক-সরকার ও বায়ারের উদ্যোগে জরুরি তহবিল গঠন করতে হবে।
৭. ২৪ এপ্রিল শোক ও নিরাপত্তা দিবস হিসাবে সকল কারখানা বন্ধ ঘোষনা কর।
Print Friendly

Related Posts