ধামরাইয়ে ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীর উপর হামলার ঘটনায় মানববন্ধন

মো. রাসেল হোসেন, ধামরাই: ঢাকার ধামরাইয়ে ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদের উপর হামলাকারিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০ টার দিকে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের থানা বাসস্ট্যান্ড ধামরাই প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নেশাখোর বখাটেদের কারণে রাস্তা ঘাটে আমাদের মা বোনেরা চলতে পারে না। ঘরের বাইরে বের হলে ইভটিজিং এর শিকার হতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজু ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় তার উপর হামলা হয়েছে। এদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

মানববন্ধনে ধামরাই প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রশিদ তুষার এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ধামরাই প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু হাসান, পৌর যুবলীগের সভাপতি আমিনুর রহমান, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনিস উর রহমান স্বপন, সাবেক সভাপতি মো. বাবুল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান, সাংবাদিক আজহারুল ইসলাম রাজু, ধামরাই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি হাবিবুর রহমান হাবিব, ধামরাই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম শুভ, আহত রাজুর বাবা আব্দুল গফুর।

মানববন্ধনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও এলাকাবাসী মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মেয়েদের উত্ত্যক্ত প্রতিবাদ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজুর (২০) ওপর বর্বরোচিত হামলা করেছে এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারিরা। ওই ছাত্রকে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। বর্তমানে তিনি ধামরাই সরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ওপর হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এঘটনায় সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকালে ওই ছাত্রের বড় ভাই সাংবাদিক বাবুল হোসেন বাদি হয়ে ধামরাই থানায় ১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

জানা গেছে, উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামের শামীম ও শুকুর আলীসহ কয়েকজন বখাটে ঈদের দিন বিকেলে কুশুরা ইউনিয়নের শাসন গ্রামের মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। এ সময় দেবেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের ২য় বর্ষের ছাত্র রাজু আহমেদসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী এর প্রতিবাদ করেন। ঈদের পরদিন গত রোববার বিকেল ৫ টার দিকে শামীম ও শুকুর আলীর নেতৃত্বে ফারুক, জুয়েল, রাসেল, সেলিম, শাকিল, রায়হানসহ ৭/১০ জন রাজুর ওপর হামলা করে। হামলাকারিরা রাজুর মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

Print Friendly

Related Posts