নৃত্য দিবসের গুরুত্ব যে কারণে

প্রচলিত আছে ‘তোমার পা আছে অথচ নাচতে পার না, তো তোমার সারাজীবনটাই বৃথা হয়ে গেল’। নৃত্য হলো মানুষের কলা সংস্কৃতির অন্যতম অঙ্গ। নৃত্য মানুষের সম্মিলন ঘটায় তার পরিচিত ভাষা দিয়ে। নৃত্যের আনন্দ বিনিময় ঘটে দর্শকের মধ্যে, তার বোধ-উপলব্ধিকে সচেতন করার জন্য। প্রকৃতি ও জীবনের সঙ্গে নৃত্যের রয়েছে এক নিবিড় সম্বন্ধ।

আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস আজ। ফরাসি নৃত্যশিল্পী তথা আধুনিক ব্যালের রূপকার জাঁ-জর্জেস নভেরের জন্মদিনে ইউনেস্কোর ‘পারফর্মিং আর্টস’-এর প্রধান সহযোগী আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট (আইটিআই) এর নৃত্য কমিটির উদ্যোগে প্রতিবছর ২৯ এপ্রিল এই দিনটি পালন করা হয়।

আইটিআই ও ইন্টারন্যাশনাল ড্যান্স কমিটি ১৯৮২ সালে প্রথমবার আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস পালন শুরু করে। বাংলাদেশেও প্রতিবছর আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস পালন করে থাকে বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা ও অন্যান্য নৃত্য সংগঠন।

এ বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসের ‘বাণী’ রচনা করেছেন চীনের নৃত্যশিল্পী, কোরিওগ্রাফার ইয়াং লিপিং। তার বাণীটির মর্মার্থ- আমার নিজস্ব জগতে নৃত্য সেই শৈশবকাল থেকেই আমাদের জীবন ও অস্তিত্বে জটিলভাবে মিলেমিশে আছে। এটা মানব জীবনের সঙ্গে প্রকৃতি ও সকল জীবিত প্রাণীর মধ্যে যোগাযোগের এক চাবিকাঠি।

প্রথিতযশা নৃত্যশিল্পী, নৃত্যনন্দনের পরিচালক শর্মিলা বন্দোপাধ্যায় বলেন, বিশ্বের প্রতিটি নৃত্যশিল্পীদের জন্য এ দিবসটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এ দিবসটির মধ্যদিয়ে আমার মনে হয়, সব নৃত্যশিল্পীরাই একইসূত্রে গাঁথা। আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস তাই সব নৃত্যশিল্পীদের এক যোগসূত্র।

Print Friendly

Related Posts