বরগুনার আমতলীতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা
ইফতেখার শাহীন, বরগুনা: বরগুনার আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহিষডাঙ্গায় সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এমকেবি ইটভাটায় দেদারছে ইট পুড়িয়ে পরিবেশ দূষণ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরিবেশগত ছাড়পত্রের নিয়ম ব্যতিরেকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ফসলি জমিতে স্থাপন করা হয়েছে এ ভাটা। শুধু তাই নয় ভাটায় প্রকাশ্যে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে ওই এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা। আইন অমান্য করে বছরের পর বছর এই ভাটায় ইট পুড়িয়ে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা ও প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র একটি ভাটার অথচ এ ভাটায় এমকেবি ও এনসিকে দুই নামের ইট তৈরী হচ্ছে। এছাড়া ভাটার পাশেই রয়েছে ভাটা মালিক আবদুস সোবাহান কাজীর নিজস্ব স্ব-মিল। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো অবৈধ হলেও সোবাহান কাজীর স্ব-মিলে প্রতিদিন হাজার হাজার মন কাঠ চিড়ে লাকরি বানিয়ে দেদারছে ইট পোড়ানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, এ ভাটায় অফিসার এসে কিছু জরিমানা করে যায় আবার কিছুদিন পরে একই নিয়মে ভাটার কাজ শুরু হয়। এ ভাটার জন্য আপনারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কি? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। যেমন ফলজ গাছের পাতা হলুদ রং ধারন করে পরিপক্ক হওয়ার আগেই ঝরে পড়ছে ফল, অন্যদিকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছি এলাকার সবাই।
ফসলী জমিতে, ঘন বসতীপূর্ন এলাকায় ভাটা স্থাপন এবং কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর সত্যতা স্বীকার করেন ভাটা পরিচালক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, আমতলীতে আরও অনেক ভাটায় লাকরী দিয়ে ইট পোড়ানো হয় বলে আমরাও লাকরী দিয়ে ইট পোড়াচ্ছি।
এ ব্যাপারে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল আলম জানান, এমকেবি ইট ভাটার বিষয় আপনাদের মাধ্যমে অবগত হয়েছি, অবিলম্বে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এএইচএম রাসেদ জানান, এ ইট ভাটায় যদি কোন অবৈধ কাজ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।