আমি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনকে গ্রাম থেকে শহরে রুপান্তর করতে চেয়েছিলাম। সেই কাজে হাতও দিয়েছিলাম। আমার মায়ের নির্দেশেই এই ৮০০ কিলোমিটার রাস্তা করেছিলাম। এখন মা যখন দেখেছে কাজগুলো থেমে গেছে তখন মা আমাকে হুকুম করে বলেছেন, বাবা আমি কাজগুলো করতে চাই। এজন্য মায়ের কথায় এই শহরকে সুন্দর রাখতে মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছি।
বলেছেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
মঙ্গলবার (৯ মে) জাহাঙ্গীর আলম তার মা জায়েদা খাতুনের প্রতীক বরাদ্দের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নেওয়া জায়েদা খাতুন প্রতীক হিসেবে টেবিল ঘড়ি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার গাজীপুর শহরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম।
মেয়র পদে ৮ প্রার্থীর মধ্যে অন্য ৮ প্রার্থীর জন্য বরাদ্দকৃত প্রতীকগুলো হচ্ছে- গণফ্রন্টের আতিকুল ইসলাম (মাছ), অ্যাড.আজমত উল্লাহ খান (নৌকা), এম এম নিয়াজ উদ্দিন (লাঙ্গল), গাজী আতাউর রহমান (হাতপাখা), সরকার শাহানুর ইসলাম রনি (হাতি), রাজু আহম্মেদ (গোলাপ ফুল) ও হারুন অর রশিদ (ঘোড়া)। মেয়র প্রার্থীরা এসে তাদের প্রতীক গ্রহণ করেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন প্রতীক নিতে আসেন। এসময় সঙ্গে তার ছেলে গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ছিলেন।
প্রতীক পাওয়ার পর জায়েদা খাতুন বলেন, লটারিতে টেবিল ঘড়ি মার্কা পেয়েছি। আমি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সবার কাছে ভোট চাই। আপনারা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন উন্নয়নের জন্য ঘড়ি মার্কায় ভোট চাই৷ আমি লড়াই করছি জনগণের জন্য। আমার সাথে সিটি কর্পোরেশনের জনগণ রয়েছে। আমি আমার এবং ভোটারের নিরাপত্তা চাই। আমি নির্বাচন কমিশনারের কাছে একটা সুষ্ঠু ভোট চাই।
নির্বাচনে জয়লাভ করলে কি করবেন এমন প্রশ্নে জায়েদা খাতুন বলেন, এই শহরের সবচেয়ে বড় সমস্যা রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা। আমি জয়লাভ করলে আগে এই রাস্তা ও ড্রেনেজ ঠিক করবো।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিল ও সংরক্ষিত মহিলা আসনে মোট ৩২৪ জন প্রার্থী লড়াই করবেন। মেয়র পদে লড়ছেন আট জন। এর মধ্যে সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন ও সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।