ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার পর শক্তি সঞ্চয় করছে মোখা, বাড়ছে আতঙ্ক

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি বুধবারও (১০ মে) এগোচ্ছিল ঘণ্টায় ১৫-১৬ কিলোমিটার বেগে। বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকালে যা রূপ নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোখা’য়। তবে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার পর মোখা’র গতি নেমে এসেছে অর্ধেকে।

অর্থাৎ গতি কমিয়ে আরও শক্তি সঞ্চয় করছে ঝড়টি। এতে বাড়ছে আতঙ্ক, আশঙ্কা করা হচ্ছে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিরও।

বৃহস্পতিবার সকালে ব্রিফিংয়ে ঘূর্ণিঝড়টির পূর্বাভাস তুলে ধরেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের চারপাশে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। এটি বর্তমানে ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার গতিবেগে এগোচ্ছে স্থলভাগের দিকে। এই গতি অব্যাহত থাকলে রোববার (১৪ মে) সকাল থেকে দুপুর নাগাদ স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে মোখা।

বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা’র গতিপথ এখন পর্যন্ত ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে হলেও, শুক্রবার (১২ মে) উত্তর পূর্বে বাঁক নিয়ে সেটি বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূলের দিকে এগোবে।

আর এ ধারা অব্যাহত থাকলে রোববার মোখা আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ থেকে ১৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। এ অবস্থায় দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এদিন সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড়টি।
 
এর আগে আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে সকাল নাগাদ প্রবল ঘূর্ণিঝড় এবং শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে মোখা। 
এদিকে, দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহ কমার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। বলা হচ্ছে, শুক্রবার থেকে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে।
Print Friendly

Related Posts