জ, ই বুলবুল : বাবা সার্জেন্ট মরহুম মুজিবুর রহমান, ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার অন্যতম একজন আসামি ছিলেন। উত্তরাধিকার সূত্রেই আমার রক্ত কনিকায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বহমান। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আমার রাজনীতি ও প্রেরণার একমাত্র উৎস। দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণই হচ্ছেন আমার প্রাণশক্তি,আর সে কারণেই জনগনের ‘সেবক’ হয়ে আজীবন নবীনগরবাসীর পাশে থেকে নবীনগরের উন্নয়ন ও জনগণের খেদমতসহ বিগত দিনের আমার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করে নবীনগর উপজেলাকে সারাদেশে একটি ‘উন্নয়নের রোড মডেল’ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ নিয়ে আবারও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসন থেকে আগামি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চাইবো।
কথাগুলো বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সাবেক এমপি ও নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল।
আগামি দ্বাদশ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা ও নবীনগরের উন্নয়ন নিয়ে ফয়জুর রহমান বাদল নবীনগরবাসীর উদ্দেশে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি আপনাদের অকৃত্রিম ভালবাসায় সিক্ত হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ নবীনগরের রাজনৈতিক অঙ্গনে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত আছি। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমার রাজনীতি ও প্রেরণার একমাত্র উৎস। দলীয় নেতাকর্মীদের অকুণ্ঠ সমর্থন, ভালোবাসা ও সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দুই দুইবার অধিষ্ঠ হয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। আমার জীবনে যতই বাধা বিপত্তি, প্রতিবন্ধকতা আসুক না কেন, আমি আমার মেধা, যোগ্যতা, কর্তব্যনিষ্ঠা সর্বোপরি সর্বশক্তি দিয়ে নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাবো। দলকে সুশৃংখল ও ঐক্যবদ্ধ রাখতে দলের স্বার্থে অতীতেও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলাম, এখনও আছি এবং আজীবন আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে প্রিয়নেত্রী জাতির জনকের কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার যথাযথ নির্দেশনা বাস্তবায়নেও সচেষ্ট থাকবো। আমার সর্বোচ্চ মেধা, যোগ্যতা, আন্তরিকতা, মননশীলতা দিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি আওয়ামী লীগের তৃণমূলের প্রতিটি নেতাকর্মী সমর্থকদেরকে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে আগলে রাখতে। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণই হচ্ছেন আমার প্রাণশক্তি এবং প্রেরণার উৎস্য।
তিনি আরও বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা আমাকে নির্বাচিত করে যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, সেই দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পযর্ন্ত আমি নবীনগরের উন্নয়নে কি কাজ করেছি আর কি কাজ করি নাই, সেটির বিচার বিশ্লেষণ ও বিবেচনা আপনারাই করবেন। সেই সময়ে নবীনগর উপজেলার সামগ্রিক উন্নয়নে প্রায় ১ হাজার ২’শ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের প্রকল্প ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিলো। সময়ের অভাবে সবগুলো কাজ সমাপ্ত করতে পারিনি। কিছু গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যমান কাজ অসমাপ্ত রয়ে গেছে। আমার রেখে যাওয়া নবীনগরবাসীর প্রত্যাশিত সেই সকল অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করাসহ আপনাদের ‘সেবক’ হওয়ার জন্য আগামি সংসদ নির্বাচনে আমি আবারও এই আসন (নবীনগর) থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চাইবো। আপনাদের সকলের সার্বিক সহযোগিতা ও দোয়া/আশীর্বাদ আমার একান্ত প্রয়োজন।
আমার বিশ্বাস, নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী সমর্থকের পাশাপাশি এখানকার প্রতিটি সাধারণ জনগণ আমাকে স্নেহ করেন ও ভালবাসেন। আপনাদের এই ভালবাসাকে আমার জীবন চলার পথে পাথেয় করে আমি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’প্রতীকে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্নেহধন্য ও আস্থাভাজন কর্মী হিসেবে একজন দক্ষ ‘মাঝি’ হতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত আমি সংসদ সদস্য থাকাকালে অবহেলিত নবীনগরের সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় আমি আমার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে নবীনগরবাসীর জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে গিয়েছি এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে আবারও এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হতে পারলে, আমার রেখে যাওয়া সেইসব অসমাপ্ত কাজগুলোর সমাপ্ত করাসহ নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে নবীনগরের সামগ্রিক উন্নয়নে আরও কিছু দৃশ্যমান কাজের মাধ্যমে নবীনগর উপজেলাকে সারাদেশে একটি ‘উন্নয়নের রোড মডেল’ হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ ।
ইতোমধ্যে তার এই লিখিত বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে সহ ফেইসবুক ভেসে বেড়াচ্ছে তার অনুসারীদের মধ্যে।