বিডিমেট্রোনিউজ ॥ আইপিএলে স্বপ্নের মতো একটি সময় কাটিয়ে সোমবার রাতে দেশে ফিরেছেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ। আইপিএল জয় করে বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতা হয়ে রাত দশটার পরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন আইপিএলের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় মুস্তাফিজ। আইপিএলের শিরোপা জিতে সোমবার রাত ১০টা ২৬ মিনিটে দেশে ফিরেছেন মুস্তাফিজ। বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতা হয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি০৯৬ ফ্লাইটে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রেখেছেন মুস্তাফিজ।
বিমানবন্দরে তাকে নিতে আসেন বড় মামা মনিরুল ইসলাম। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যান্টমেন্টে তার খালার বাসায়। আজ তিনি নিজ জেলা সাতক্ষীরায় যাবেন তিনি।
বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুস্তাফিজ বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। শুরুটা ভালো ছিল। আমাদের শেষটাও ভালো হয়েছে। যেভাবে চেয়েছি সেভাবে সব হয়েছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’
বাঁহাতি এ বিস্ময়কর পেসার নিজের জাত চিনিয়েছেন আইপিএলে। আইপিএলের নবম আসরের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন মুস্তাফিজ। পুরস্কার হিসেবে তিনি পেয়েছেন ১০ লাখ রুপি।
মুস্তাফিজের আইপিএলের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাঁহাতি বিস্ময়কর এ পেসারের প্রশংসাও করেছেন ক্রীড়ামোদী প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় বীরের খেতাবও দিয়েছেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী আরিফ খান জয় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বিস্ময়কর এ পেসারকে ক্রীড়াক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে অর্ভ্যথনা জানিয়ে সংবর্ধনা দিয়েছেন।
বিমান বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পরপরই মুস্তাফিজ ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে বের হয়ে আসেন। কালো বুট, নেভি ব্লু জিন্স প্যান্ট আর হলুদ টি-শার্ট গায়ে সাদামাটা মুস্তাফিজের মাথায় গোলাপের মুকুট পরিয়ে দেন আরিফ খান জয়। গলায় গাজরা ফুলের মালা দেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন সুজন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পাঠানো ফুলের তোড়া তুলে দেন আরিফ খান জয়।
ভিআইপি লাউঞ্জ চামেলিতে মুস্তাফিজকে নিয়ে বসেন আরিফ খান জয় ও বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো মিষ্টি দিয়ে মুস্তাফিজকে দ্বিতীয়বারের মতো বরণ করেন আরিফ খান জয়। মুস্তাফিজও উপমন্ত্রীর মুখে মিষ্টি তুলে দেন।
উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় তার বক্তব্যে বলেন, ‘মুস্তাফিজ আমাদের বীর, আমাদের সন্তান, বিশ্ব ক্রিকেটাঙ্গনে মুস্তাফিজ এক বিরল প্রতিভা, দেশের নব-রাজকুমার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে জাতীয় বীর হিসেবে ভূষিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে মুস্তাফিজকে অর্ভথনা জানিয়েছি। আজকে আমরা আমাদের জাতীয় বীরকে রাজমুকুট পড়িয়ে দিয়ে সংবর্ধনা জানিয়েছি। আমরা আগামীতে তাকে রাষ্ট্রীয় পদক এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করিয়ে সংবর্ধিত করব। বিরল এ প্রতিভা বাঙালি জাতিকে সবচেয়ে বেশি গর্বিত করেছে। আজ বাঙালি জাতির উৎসব হাজারো রঙে রঙিন হয়েছে। সে আজ উৎসবের মধ্যমণি। এ বীর সন্তানকে আজ সরকারের পক্ষ থেকে বরণ করে নিলাম। বাংলাদেশের ষোলোকোটি মানুষ মুস্তাফিজের জন্য দোয়া করবেন।’