তীব্র সমালোচনা এবং পরিবেশবাদীদের দাবীর মুখে রাজধানীর ধানমন্ডি সাতমসজিদ রোডের বিভাজকে ৬৫০টির মতো ফুলের গাছ লাগিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
শুক্রবার (১৯ মে) রাতে সরেজমিনে দেখা গেছে, রঙ্গণ, কামিনী, বাগান বিলাস, চন্দ্রপ্রভাসহ কয়েক ধরনের ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে।
রোডের বিভাজকে গাছ লাগানো মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিটি ফুলের গাছের মধ্যে চার-পাঁচ ফুট দূরত্ব রেখে গাছ লাগাচ্ছেন তারা। সাতমসজিদ রোডের পুরো অংশের রোড বিভাজকের কাজ এখনও শেষ হয়নি।
ধানমন্ডি ২৭ নম্বর থেকে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বিভাজকের মধ্যে ইতিমধ্যে কাজ শেষ হওয়া ৮০০ মিটার অংশে প্রায় সাড়ে ৬০০টি ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে বলে জানান সুপারভাইজর আমিনুল।
তিনি জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্দেশে তারা রোড বিভাজকের কাজ করছেন। রোডের যে অংশের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, সেই অংশে বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ লাগানো শুরু করেছেন। এরমধ্যে সাড়ে ৬০০ ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। পুরো রাস্তায় দেড় হাজারের মতো গাছ লাগানো হবে।
সবগুলো ফুলের গাছ কি না, জানতে চাইলে আমিনুল বলেন, আমি যতদূর জানি দেড় হাজার গাছের সবগুলোই বিভিন্ন দেশি বিদেশি ফুলের গাছ। এসব গাছ লাগানোর জন্য প্রয়োজনীয় ভিটি বালু, মাটি, গোবর এবং সারও কেনা হয়েছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে পুরো রাস্তায় সব গাছ লাগানো শেষ হবে বলেও জানান আমিনুল।
ধানমন্ডি সাতমসজিদ রোডের প্রায় দুই কিলোমিটার রোড বিভাজকে দেড় হাজার ফুলের গাছ লাগাতে কত খরচ পড়ছে, তা জানেন না এই সুপারভাইজার। তবে ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে- মাটি, সার, বালু এবং ফুলের চারা কেনা ও লাগানো বাবদ তাদের খরচ পড়েছে ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকার মতো।
উল্লেখ্য, ডিএসসিসি কর্তৃক ধানমন্ডি সাতমসজিদ রোডের প্রায় দুই কিলোমিটার রোড বিভাজক করার সময় রাতের অন্ধকারে কয়েকশ গাছ কেটে তীব্র সমালোচনা ও আন্দোলনের মুখে পড়ে সংস্থাটি।