দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের দুই নেত্রী। দুজনই দলের সিলেট জেলা ও মহানগরের সভাপতি। রয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও।
অ্যাডভোকেট রোকসানা বেগম শাহনাজ ও সালেহা কবির শেপি এই দুই নেত্রীকে শত চেষ্টা করেও নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে পারেনি স্থানীয় বিএনপি।
সিলেট মহানগর মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট রোকসানা বেগম শাহনাজ। তিনি আবার মহানগর বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদকও। তিনি সিসিকের ২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন। বিগত তিনটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তিনি সিটি কর্পোরেশনে ২৫,২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ৯ নং ওয়ার্ড থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তিনবারই বিজয়ী হয়েছিলেন। তিন মেয়াদেই ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র। এবার তিনি সংরক্ষিত ওয়ার্ড থেকে অংশ না নিয়ে আরো ৪ জন পুরুষ প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন।
সাবেক সিটি কাউন্সিলর সালেহা কবির শেপি মহিলা দলের সিলেট জেলা সভাপতি। তিনি ২২,২৩ ও ২৪ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ৮ নং ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকও। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করায় অন্যদের সাথে তিনিও বহিস্কার হচ্ছেন দল থেকে।
অ্যাডভোকেট রোকসানা বেগম শাহনাজ বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন স্থানীয় সরকার নির্বাচন। দীর্ঘ দিন থেকে সাধারণ মানুষের সাথে সম্পর্ক, তাদের চাওয়া পাওয়া উপেক্ষা করা যায়না। কারণ দলইতো এই জনগণকে নিয়ে। তাদের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সালেহা কবির শেপি বলেন, ওয়ার্ডের লোকজন আমাকে চায়, তাদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে প্রার্থী হয়েছি। দল যে সিদ্ধান্ত নিবে মাথা পেতে নিবো।
সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। দলটি সিটি মেয়র, এমনকি কাউন্সিলর পদেও দলীয় নেতাদের অংশ না নিতে নির্দেশনা দিয়েছে। ইতোমধ্যে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন।
এছাড়া বিএনপি নেতা ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিনার খান হাসুসহ অনেকেই নির্বাচন বর্জন করেছেন। অবশ্য অনেকেই দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে আবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এবার কাউন্সিলর পদে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাধারণ ৪২টি ও সংরক্ষিত ১৪টি ওয়ার্ডে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী প্রার্থী হওয়ার তৎপরতা শুরু করে। নির্বাচন থেকে সরাতে ২৫ সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া ৩২ সম্ভাব্য প্রার্থীকে নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেয় মহানগর বিএনপি। তবে অনেকেই তাতে কর্ণপাত করেননি।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামি ২১ জুন ইভিএমে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন।