গোপন ভিডিও’ ফাঁস নিয়ে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ঢাকাই অভিনয় জগতের তিন তারকা। তারা হলেন- শরিফুল রাজ, সুনেরাহ বিনতে কামাল ও তানজিন তিশা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে রাজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দুই অভিনেত্রীকে জড়িয়ে বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওগুলোতে শোবিজের এই তিন তারকার মুখের কথাই ছিল কুরুচিপূর্ণ। এরপরই বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
যদিও রাজের ফেসবুক থেকে ভিডিও প্রকাশের ১৭ মিনিটের মাথায় তা ডিলিট করা হয়। তবে ডিলিট করার আগেই সেই ছবি ও ভিডিওগুলো অনেকের নজরে আসে।
ভিডিও নিয়ে সুনেরাহ মুখ খুললেও চুপ আছেন তরুণ প্রজন্মের ক্রেজ তানজিন তিশা। তিনি নিয়মিত কাজ করছেন ওটিটি প্লাটফর্ম, টিভি নাটক, বিজ্ঞাপনচিত্র ও মিউজিক ভিডিওতে।
ফাঁস হওয়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়- তানজিন তিশা আছেন কোনো এক লিফটে মধ্যে। সেখানে তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। এমনটা ভিডিও দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তবুও তথ্যটি নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, তানজিন তিশা অশ্লীল ভাষায় কথা বলছেন, আবার গানের তালে তালে নাচছেন। যদিও ভাইরাল এই বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি তিশা। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এদিকে সোমবার রাতেই নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে ঘটনাটি নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল। এই অভিনেত্রী তার পোস্টে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন শরিফুল রাজের স্ত্রী, অভিনেত্রী পরীমণির দিকে।
নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে সুনেরাহ লিখেছেন, ‘আমি রাজকে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চিনি। সে আমার অনেক ভালো বন্ধু ছিল। একটাই সমস্যা তা হলো সে ছেলে আর আমি মেয়ে। তার বিয়ের পর থেকে আমাদের প্রায় যোগাযোগই ছিল না। সেদিন একটা ডাবিং স্টুডিওতে আমাদের দেখা হলো। আমরা একসঙ্গে ছবি তুললাম। আমি জানি না, পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে একটা ছবি তোলা কী অপরাধ। কোনো কারণ ছাড়াই তার স্ত্রী (পরীমণি) আমার ওপর রেগে গেল।’
ফাঁস হওয়া ভিডিওগুলো নিয়ে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘যে ভিডিওগুলো আপনারা দেখেছেন, সেগুলো পাঁচ বছর আগের। তখন আমাদের বয়স কম ছিল এবং সবসময় মজা করতাম, প্রতিদিন আমরা এভাবে কথা বলার প্রাকটিস করতাম। কারণ, আমাদেরকে (বিশেষ করে আমাকে) সিনেমার প্রয়োজনে এভাবে গালি দিতে হয়েছে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘তাকে (রাজকে) একটি ছবি আমি তখন পাঠিয়েছিলাম, তাকে এটা জানানোর জন্য যে আমি শুটিংয়ে মার খেয়েছি (যেখানে লিয়াকত আমাকে মারে, ‘ন ডরাই’ সিনেমাটা যারা দেখেছেন, তারা জানবেন), মার খেয়ে কালশিটে পড়ে গিয়েছিল, উঠে দাঁড়াতেও পারছিলাম না। শুটিংয়ে যেতে পারব না এটা জানানোর জন্য ছবিটা পাঠিয়েছিলাম। তবে শুধু তাকে না, পরিচালককেও পাঠিয়েছিলাম।’