কয়েক দিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দাম্পত্য সমস্যা ও বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনায় ছিলেন আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী সানাই মাহবুব।
বুধবার (৩১ মে) সন্ধ্যায়ও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মারামারি হয়েছে তাদের। আর রাত ১১.৫৮ মিনিটে নিজের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিলেন সানাই মাহবুব।
তিনি ফেসবুক পেজে লিখেন, আসসালামু আলাইকুম, শনিবার আমার শ্রদ্ধেয় সংবাদিক ভাইয়ারা আসবেন… আমি ছোট খাটো একটা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করছি… আমি অনেক চুপ করে থেকেছি, এই ১ বছরে যে পাশবিক নির্যাতন আমার স্বামী আবু সালেহ মূসা আমার সাথে চালিয়েছে এবং এই নির্যাতনে তার পরিবার বরাবর চুপ থেকেছে… আর আমার পরিবার আমাকে বলেছে, মানিয়ে নাও..।
তিনি আরো লিখেন, এটা থেকে ফাইনালি বের হওয়া দরকার… আমার কাছে কিছু ভয়েস ক্লিপ আছে (যেগুলা আমি বাধ্য হয়েছি রেকর্ড করতে) যেগুলা শুনলে ইনশাআল্লাহ প্রমাণ হবে আসলেই কে দোষী..। সবাই জানেন যে, আমি সংসার করার জন্য সব ছেড়ে দিয়ে চলে এসেছিলাম কিন্ত সেই সংসার টার অবস্থা তো এরকম হওয়ার ছিলো না… এতো মানসিক আর শারীরিক নির্যাতন হওয়ার কথা ছিলো না….এ জন্যই এই সংবাদ সম্মেলন..।
এ বিষয়ে সানাইয়ের স্বামী আবু সালেহ মুসা বলেন, আমি একটু শাসন করবো সেটাই অপরাধ। আমি একটু কেয়ার করলে সেটা অপরাধ। আমাদের মধ্যে কোনো কিছু গ্যাপও ছিল না। ফ্যামিলি থেকে কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে। ওরা আসেও না আমাদেরকে দেখেও না। এসে তো সমাধান বের করবে, চাকরিটা হচ্ছে মূল সমস্যা। কোনো ফ্যামিলি কোনো সমাধান বের করে না। আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, আজকে তো আমাকে কিডনিতে আঘাত করছে তারপরও কিছু বলিনি। কথা কাটাকাটি হবে, কিন্তু হাতাহাতি কেনো।
আবু সালেহ মুসা বলেন, ‘একটু আগেই ভালো ছিল। হঠাৎ বটি নিয়ে এসে আমার মাথায় চোট মারে। পরে ভাগ্য ভালো বাসা থেকে বাইরে চলে এসেছি আর কি। আজকে ঝাড়ু দিয়া মাইরও দিছে, এর আগে পা দিয়ে লাথিও মারছে। তবুও আমি কিছু বলি নাই। আজকে দুই তিনটা লাথি মারছে,। আমার কিডনির সমস্যা করে দিছে। তারপর আমি কিছু বলিনি। তার সঙ্গে আজ একটু কথা কাটাকাটি হইছে। এজন্য ঝাড়ু দিয়া মাথায় মারছে। তারপর আমি একটা থাপ্পড় দিছি। থাপ্পড় দেওয়ার পর আমাকেও দুটা থাপ্পড় মারছে। আমাকে প্রায় মারে আর কি। আমি এ নিয়ে কিছু বলি না। এই কারণে সর্ম্পকটা টিকে থাকুক।’
এর আগে বুধবার রাত ৮ টা ৫৮ মিনিটের দিকে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে সানাই ডিভোর্সের কথা জানান।
এ বিষয়ে সানাই মাহবুবের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।