জমে উঠতে শুরু করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বৃহত্তর কানসাটের আম বাজার। ইতোমধ্যে আড়ৎদারেরা তাদের আড়ৎ মেরামতের কাজ শেষ করে আম বেচাকেনায় শুরু করেছেন। আম চাষি ও বাগান মালিকরা বলছেন, এখন পর্যন্ত গাছ থেকে তারা ৩০ শতাংশ আম নামিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) কানসাটের আম বাজারে গেলে দেখা যায়, বাজারে আটিঁ-গুটিসহ কয়েক রকমের আম এসেছে।
বাজারে প্রতিমণ আটিঁ-গুটি জাতের আম বিক্রি হচ্ছে ধরণভেদে ৫০০-১০০০ টাকা, গোপালভোগ আম ২২০০-২৫০০ টাকা, লক্ষণভোগ আম ৭০০-৮০০ টাকা ও ক্ষিরশাপাত ১৭০০ থেকে ২৬০০ টাকা।
বাজারে আম বিক্রি করতে আসা বাগান মালিকরা জানান, গত বছর আমের ফলন কম হলেও দাম পেয়েছেন দ্বিগুণ। এবার বালাইনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিচর্যায় খরচ বেড়েছে তাদের। এবার অন ইয়ার বা বেশি ফলনের বছর হওয়ায় বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে এখন কম আম আসছে তাই, তারা আমের দামটা বেশি পাচ্ছেন। কিন্তু বাজারে যখন বেশি পরিমাণে আম আসতে শুরু করবে তখন ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত তারা। তাদের দাবি- এই আম বিদেশে রপ্তানি করা গেলে তারা কিছুটা হলেও লাভবান হতে পারবেন।
সোহেলরানা নামে এক আমচাষি পার কানসাট এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চাষ করেন। এই বছর দ্বিতীয় বারের মতো তিনি বাজারে আম বিক্রি করতে এসেছেন। তিনি বলেন, কানসাট বাজারে এখন আমের দাম আশানুরূপ পাচ্ছি,আগামিতে আমের এমন অবস্থা থাকবে বলে মনে হচ্ছেনা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পলাশ সরকার বলেন, এবার আবহাওয়ার কারণে অন্য জেলার চেয়ে কয়েকদিন পরে আমাদের এখানে আম পাকতে শুরু করেছে। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে পুরোদমে সব ধরণের গুটি, গোপালভোগ আম বাজারে আসতে শুরু করবে। এবার ৩৭ হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ হয়েছে। এবছর আমের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।