তালের শাঁসের পুষ্টিগুণ অনেক

অলোক আচার্য

 

গ্রীষ্মকাল মানেই তীব্র গরমে হাঁসফাস অবস্থা। বাহারি মৌসুমি ফলে বাজার থাকে সয়লাব। এসব ফলের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ফল হলো সুস্বাদু ও রসালো স্বাদের তালের শাঁস।

তাল পাকা অবস্থায় যেমন মানুষের কাছে রসনা বিলাসে জুড়ি নেই, তেমনি কাঁচা বা ছোট অবস্থাতেও একই অবস্থা।

সাধারণত যারা এই তালের শাঁস বিক্রি করেন তারা গৃহস্থের বা গাছের মালিকের কাছ থেকে শুরুতেই গাছ ধরে কিনে নেন। তারপর সুবিধামতো কেটে বাজারে বিক্রি করেন।

এই মৌসুমে অনেকে পেশা হিসেবে তালের শাঁস বিক্রি করেন। আকারভেদে বাজারে এর দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা। একটি তালের মধ্যে তিনটি শাঁস থাকে। একসময় ৫-১০ টাকাতেই তিনটি শাঁস পাওয়া গেলেও এখন দাম বেড়েছে।

সাদা রঙের শাঁসের মধ্যে মিষ্টি রসে পরিপূর্ণ থাকে। মুখে নিতেই মুখ মিষ্টিতে ভরে যায়। তাল কচি অবস্থায় শাঁস থাকে পাতলা এবং রস থাকে বেশি। শাঁস যত পুরু হয় রস কমতে থাকে এবং শাঁসের স্বাদও কমতে থাকে। একসময় সেটি পূর্ণ আঁটিতে রুপ নেয়।

তালের শ্বাস শুধুমাত্র স্বাদেই নয়, পুষ্টিতেও এর জুড়ি নেই। তালের শাঁস আমাদের শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও তালের শাঁসে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান।

পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যার সমাধানেও তালের শাঁস বেশ কার্যকরী। এর পাশাপাশি তালের শাঁসে প্রচুর পরিমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts