প্রচলিত হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের পক্ষে বিশিষ্ট ৫৫ জনের বিবৃতি

বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ৫৫ জন বিশিষ্ট সমাজপতি, বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, আইনজ্ঞ ও ধর্মজ্ঞ ব্যাক্তি এক বিবৃতিতে সম্প্রতি বাংলাদেশের হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংস্কার বিষয়ে তথাকথিত আইন কমিশন ও কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক উত্থাপিত দাবীর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আইনটি সংস্কার দাবিদার এবং আইনটি বলবত রাখার পক্ষে বিভিন্ন মহলের বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে তা অনভিপ্রেত।বাংলাদেশ হিন্দু পিপুলস ফোরাম প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বিশিষ্ট ৫৫ জন বলেন, বাংলাদেশের হিন্দু উত্তরাধিকার আইন দায়ভাগ আইন নামে প্রসিদ্ধ এবং এটি একটি সুপরিকল্পিত সুচিন্তিত সর্বজন সমাদৃত হিন্দু পারিবারিক উত্তরাধিকার আইন যা ১৯৩৭ সালে সংস্কার ও সংযোজন করা হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীরা বিদ্যমান সনাতন শাস্ত্রীয় আইনে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত নন। ফলে আইন সংশোধনের পক্ষে আনা যুক্তি ভিত্তিহীন।

বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, বর্তমান প্রচলিত বাংলাদেশের হিন্দু উত্তরাধিকার আইন নিয়ে এদেশের সাধারণ হিন্দু জনগণের কোন আপত্তি নেই বরং হিন্দুরা সাচ্ছন্দে জীবন কাটাচ্ছে তবে কেনো কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল এ আইন পরিবর্তনে আদাপানি খেয়ে লেগেছে? এবং এতে মদত যোগাচ্ছে কয়েকজন ধর্মান্তরিত নারী।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ভিন্ন দেশের উদাহরণ দেখিয়ে আমাদেরকেও তদ্রূপ আইন করতে হবে এটা একটি বালখিল্য দাবী ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা আমাদের দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক ও ধর্মীও বিষয়কে প্রাধন্য দিয়ে আমাদের জনগণের মৌলিক চাহিদা অনুযায়ী আইন সৃষ্টি করবো।

পরিশেষে তারা বলেন, বর্তমান প্রচলিত হিন্দু উত্তরাধিকার আইন বাংলাদেশের হিন্দু জনগণের একটি সামাজিক রক্ষাকবচ। এ আইন পরিবর্তন করা হলে তাদের সামাজিক ও ধর্মীও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, সর্বশ্রী মনিন্দ্রনাথ সরকার, দুলাল বিশ্বাস, অধ্যাপক নীরোদ বরন মজুমদার, এডভোকেট কালিপদ মৃধা, এডভোকেট চিত্ত বল, আশুতোষ মণ্ডল, খগেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, শ্যামল বোস, সঞ্জিব বাইন, এডভোকেট মিল্টন বিশ্বাস, অধ্যাপক সুকদেব বালা, অধ্যাপক জীবানন্দ কীর্তনিয়া, শ্রীমৎ অবিনাশ গোস্বামী, শ্রীমৎ বাবলু ঠাকুর, নিখিল মৃধা, বাসুদেব বসু, ডাঃ বীরেন্দ্রনাথ সিংহ, ডাঃ অশিত চক্রবর্তী, ডাঃ হরে কৃষ্ণ মণ্ডল, ডাঃ তপতী, কবি সুজিত কুমার মন্ডল, অসিত রঞ্জন মজুমদার প্রমুখ।

সূত্র : অসিত রঞ্জন মজুমদার, প্রচার সচিব, বাংলাদেশ হিন্দু পিপুলস ফোরাম।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts