গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়াকে ‘অপসারণ’ করা হয়েছে।শনিবার (১ জুলাই) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে গণঅধিকার পরিষদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঈদের ছুটিতে যানবাহন সংকট ও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে অন্য সদস্যরা উপস্থিত হলেও সভা ডেকে আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া অনুপস্থিত ছিলেন। এ অবস্থায় সভায় উপস্থিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খানকে সভার সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করা হয়। সদস্য সচিব নুরুল হক নুর সভা সঞ্চালনা করেন।
সভায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য আহ্বায়কের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব সমর্থন করায় আহ্বায়ককে অপসারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এ ছাড়া, দলের চলমান সংকট নিরসনে জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১০ জুলাই দলের উচ্চতর পরিষদ ও জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে ও কাউন্সিলের আগ পর্যন্ত মো. রাশেদ খানকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান এবং সদস্য সচিব মো. নুরুল হক (নুর)-কে রুটিন মাফিক নিয়মিত দায়িত্ব পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ দুই নেতা— নুরুল হক ও রেজা কিবরিয়ার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ–পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে দলটিতে অস্থিরতা চলছে অনেকদিন ধরে। বিভিন্ন সময় তারা প্রকাশ্যেও বিরোধে জড়িয়েছেন।
সম্প্রতি দলের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া এবং সদস্যসচিব নুরুল হক একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছেন। রেজা কিবরিয়া দলের সদস্যসচিব নুরুল হকের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেশী দেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ এবং ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে বৈঠক করার অভিযোগ করেন। এ ছাড়া রেজা কিবরিয়া দলের তহবিল নিয়ে স্বচ্ছতার প্রশ্ন তোলেন।
অন্যদিকে নুরুল হক পাল্টা অভিযোগ করেন যে রেজা কিবরিয়া অনেকদিন ধরে ফরহাদ মজহার ও শওকত মাহমুদের নেতৃত্বাধীন ইনসাফ কায়েম কমিটির কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন। সে জন্য তিনি অর্থ পাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন নুরুল হক।