আফগানিস্তানের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত হারের পরে রাতে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুর ১২ টায় হওয়ার কথা থাকলেও পরবর্তীতে তা পিছিয়ে দেড়টায় নিয়ে যাওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে কি বলবেন তামিম তা নিয়ে চলছিল ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা। অবশেষে সংবাদ সম্মেলনে কঠিন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নির্ধারিত সময়েই এলেন তামিম। এসে বসলেন। চোখ তার টলমল করছে কান্নায়। দেখেই যা বোঝার বোঝা হয়ে গেল তাতে। চরম সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন তামিম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়ে নিলেন তামিম। বুধবার (৫ জুলাই) আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেই তার ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে হয়ে থাকল।
আফগান সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে তামিম হুট করে জানান, তিনি শতভাগ ফিট নন। ফিট না হয়েও ম্যাচ খেলার ঘোষণা দেওয়ায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যেই তামিমের সমালোচনা করেন পাপন। এরপর মাঠের খেলায় আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের হারের পর থেকেই ব্যাকফুটে ছিলেন তামিম। এরপরই দেন সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা।
সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তাই কৌতুহল তুঙ্গে; কী বলবেন তামিম? গুঞ্জন ছিল, ওয়ানডের অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন তিনি। হালকা করে হাওয়ায় ভাসছিল অন্য গুঞ্জনও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেই অবসরের ঘোষণা দিতে পারেন জাতীয় দলের ওপেনার।
শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই সত্যি হলো। অবসরের ঘোষণাই দিয়ে বসলেন। চট্টগ্রামের হোটেল টাওয়ার ইনে তামিম সংবাদ সম্মেলনে প্রবেশ করলেন গম্ভীর মুখে। টেবিলের সামনে বসতেই চোখ ফেটে নামল কান্না। এরপরই বোঝা গেল কী বলতে চলেছেন তিনি। বাধ না মানা কান্নার তোড় অনেক কষ্টে ঠেকিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায়ের কঠিন সিদ্ধান্তটি জানিয়ে দিলেন তিনি।
১৮ মিনিটের বক্তব্যের শুরুতেই তামিম বলেন, ‘গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিই আমার শেষ আন্তর্জাতিক খেলা। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এই মুহূর্তে অবসরের ঘোষণা দিলাম। এই সিদ্ধান্তটি আমি হুট করে নেইনি। আমি গত কয়েকদিন থেকে এটা ভাবছিলাম। আমি আমি পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেছি। আমি মনে করি এটাই সঠিক সময় সিদ্ধান্ত নেওয়ার।’