ঢাকাসহ সারা দেশেই উন্নয়নের নামে পরিকল্পিতভাবে বৃক্ষ নিধন চলছে। রাস্তার সংস্কার,বৃদ্ধি নতুন রাস্তা তৈরী কিংবা রামপাল তাপবিদুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য মেগা প্রকল্পের নামে দেশব্যপী বৃক্ষ নিধনের মহাৎসব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র উদ্যোগে “বৃক্ষ নিধন ও তার পরিবেশগত প্রভাবঃ আমাদের করণীয়”-শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের মূল প্রবন্ধে এ কথা বলা হয়।
শনিবার (৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টায় ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে (দ্বিতীয় তলা), এই সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাপা’র কোষাধ্যক্ষ মহিদুল হক খান।
বাপা’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, আলমগীর কবির এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলার প্রধান নির্বাহী, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ধানমন্ডির সাতমসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলনের নেতা, শিরিন হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম শহীদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবরিকালচার সেন্টারের পরিচালক, অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, পরিবেশবিদ, অধ্যাপক ড. তাওহীদা রশীদ, গ্রীন সেভার্স এর প্রধান নির্বাহী, আহসান রনি প্রমূখ।
এতে উপস্থিতি ছিলেন বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক, মিহির বিশ্বাস, হুমায়ুন কবির সুমন ও পারান ঢাকা পরিবেশ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি নাজিম উদ্দীন, বাপা সদস্য হাজি আনসার আলীসহ বাপা অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন পরিবেশবাদী ও সামাজিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
মূল প্রবন্ধে স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশেই উন্নয়নের নামে পরিকল্পিতভাবে বৃক্ষ নিধন চলছে। রাস্তার সংস্কার,বৃদ্ধি নতুন রাস্তা তৈরী কিংবা রামপাল তাপবিদুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য মেগা প্রকল্পের নামে দেশব্যপী বৃক্ষ নিধনের মহাৎসব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তিনি বলেন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা যশোর শহর থেকে বেনাপোল পর্যন্ত ৩৮ কি.মি. রাস্তাটি সম্প্রসারণের প্রকল্পটি ২০১৭ সালের মার্চ মাসে পাশ হয়। এই রাস্তার দুই পাশে সড়ক ও জনপথের হিসেব অনুযায়ী গাছ রয়েছে ২৩শ ১২টি। এর মধ্যে এই মহাসড়কটি ঐতিহাসিকভাবে যশোর থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা পর্যন্ত বিস্তৃত। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই যশোর রোড দিয়েই লাখ-লাখ শরণার্থী ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন। শরণার্থীদের সেই ঢল নিয়ে বিখ্যাত মার্কিন কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ নামে একটি কবিতা লেখেন। পরবর্তীতে গায়ক বব ডিলান এবং অন্যদের সহায়তায় সেই কবিতাকে তিনি গানেও রূপ ‘গাছ কেটেই প্রশস্ত হচ্ছে মহাসড়ক’ শিরোনামে সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ রিটের সাপেক্ষে যশোর রোডের ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী গাছ কাটায় ছয় মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেন হাইকোর্ট। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত যশোর রোডের ভারতীয় অংশের ৩০৬টি শতাব্দীপ্রাচীন গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। ১৫০০ বৃক্ষরোপণের শর্তে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে বাংলাদেশের যশোর পর্যন্ত বিস্তৃত এই ঐতিহাসিক মহাসড়কের ওই গাছগুলো কাটার অনুমতি দেয়া হয় বলে জাানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
বৃক্ষ নিধনের ফলে আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে বৃদ্ধি পেয়েছে বজ্রপাতের মতো দুর্যোগ। সার্ক আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতে মৃত্যু হয় বাংলাদেশে। এ ছাড়াও আমেরিকান গবেষকদের মতে পৃথিবীতে বজ্রপাতে যে পরিমাণ মানুষ প্রাণ হারান তার এক-চতুর্থাংশ প্রাণহানি ঘটে বাংলাদেশে।
বৃক্ষ নিধনের পরিবেশগত প্রভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও হিট আইল্যান্ড এফেক্ট বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস), অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিভাগের এক যৌথ গবেষণার তথ্য মতে, ঢাকা শহরে গ্রামের থেকে সাড়ে তিন ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি থাকে। গবেষণার তথ্যমতে, ঢাকার উষ্ণতম স্থানের সঙ্গে শহরের বাইরের প্রাকৃতিক পরিবেশসমৃদ্ধ এলাকার সঙ্গে দিন-রাতের ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রার পার্থক্য যথাক্রমে ৭ ও ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের গবেষণা অনুসারে, ঢাকা মহানগরে ২০ শতাংশ সবুজ এলাকা থাকা প্রয়োজন অথচ আছে সাড়ে ৮ শতাংশের কম।
তিনি আরো বলেন ২০১৯ সালের GLOBAL AIR REPORT অনুযায়ী বাংলাদেশে PM2.5 এর মান ছিল ৬৩.৪, ২০২১ সাল নাগাদ যার মান বেড়ে ৭৬.৯ এ গিয়ে দাঁড়ায়। ২০২২ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ বায়ু দূষণের দিক থেকে পঞ্চম স্থানে রয়েছে (PM2.5 এর মান ৬৫.৮)। বাংলাদেশে মৃত্যুর শীর্ষ ৫টি ঝুঁকির কারণের মধ্যে বায়ু দূষণ অন্যতম। বাংলাদেশে বায়ু দূষণের কারণে প্রতি ১,০০,০০০ জনে ১৪৫ জন মারা যায় যা বিশ্বব্যাপী গড় (প্রতি ১,০০,০০০ জনে ৮৬ জন মৃত্যু) থেকে বেশি। বাংলাদেশে মোট বায়ু-দূষণজনিত মৃত্যুর ১৮% হল ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের এবং ২২% হল ৭০ বছরের বেশি বয়স্কদের। বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশে গড় আয়ু কমেছে ২.৯ বছর।
সভপাতির বক্তব্যে মহিদুল হক খান বলেন, উন্নয়নের নামে যত্রতত্র উপরিকল্পিতভাব গাছ কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। জীববৈচিত্র রক্ষা উপযোগী বৃক্ষ রোপন করা প্রয়োজন। তা না হলে জীববৈচিত্র হুমকির মূখে পড়বে। ঢাকার সড়কগুলো প্রসস্তের নামে রাস্তার গাছগুলো কাটা হচ্ছে অথচ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন সবুজে ঘেরা একটি শহরে পরিণত হয়েছে শুধুই মানষিকতা পরিকল্পার তারতম্য বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বৃক্ষ নিধন রোধে ২০১৬ সালের বৃক্ষ সংরক্ষণ আইন এখনও কার্যকর হয়নি শুধু রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে। সরকার যখন উন্নয়নের পরিকল্পনা করে তখন তা জনগনকে জানতে দেয়না। তিনি বলেন সাতমসজিদ সড়কের ১৫-৩০ বছর বয়সী গাছ কেটে তদস্থলে বাগান বিলাশ গাছলাগিয়ে ধানমন্ডীবাসীর সাথে প্রতারণা করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। গাছ কাটার পিছনে আর্থিক বানিজ্য কাজ করছে। তিনি আরো বলেন জীববৈচিত্র সংরক্ষন করে এমন গাছ রোপপন, সংরক্ষণ, এবং মাদার ট্রি/ বড় গাছ রক্ষার আইন চাই।
শিরিন হক বলেন, রাতের অন্ধকারে চোরের মতো সির্টি কর্পোরেশনের অনুমতিতে সাতমসজিদ সড়কের ৬০০টি গাছ কাটা হয়েছে। যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। তিনি জনসাধারণকে আরো বেশী পরিবেশ সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সরকারকে পরিবেশ রক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
অধ্যাপক এম শহীদুল ইসলাম, অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে দেশের প্রাণ-প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র আজ ধ্বংসের দার প্রান্তে। যারা পাহাড়ে বসবাস করে তারা পাহাড় কাটে না, যারা বনে বসবাস করে তারা বন উজাড় করে না। যারা ইট পাথরের মধ্যে বাস করে তারা বন-পাহাড়কে ইট পাথরের শহর পানানোর জন্য গাছ কাটে এবং পাহাড় ধ্বংস করে। রামপাল ও চকরিয়ার গাছ না কেটেও গাছগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে। এর পিছনে রয়েছে মুনাফা ও অপরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্প। দন্ধ যতই প্রকট হবে পরিবেশ ততো দ্রুত পাল্টাবে।
অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বলেন, ঢাকার মধ্যে সবুজে ঘেরা ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের তুলনায় অন্যান্য স্থানের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রির বেশী তারতম্য লক্ষ করা যায়। দেশের স্কুলগুলোতে পরিবেশ বিষয়ে ছোট বাচ্চাদের গাছ ও পরিবেশের প্রতি সহনশীলকরে তোলার জন্য হাতে কলমে বৃক্ষ রোপন ও সংরক্ষণের প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরী বলে তিনি মনে করেন।
অধ্যাপক ড. তাওহীদা রশীদ বলেন, গাছের অভাবে অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দেয়, বায়ু দূষণ বৃদ্ধি পায় বহুগুনে। ত্রিশ বছরের একটি গাছ প্রতিদিন ৫০০ লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করে যার বর্তমান বাজার মূল্যে ২৪ হাজার টাকা এবং মাসে দাঁড়ায় ৭,২০,০০০ টাকা। তিনি আরো বলেন একটি গাড়ী ২৫ হাজার কিলোমিটার চললে যে দূষণ হয় তা একটি বড় গাছ শোষণ করতে সক্ষম।
আহসান রনি বলেন, দেশে উন্নয়ন ও সৌন্দর্য্য বর্ধনের নামে গাছগুলোকে উন্নয়নের নিচে পিষে ফেলা হচ্ছে। উন্নয়ন ও সৌন্দর্য্য বর্ধনের নামে বৃক্ষ নিধন কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। এসকল প্রকল্পে আছে কোটি কোটি টাকার হিসাব। সেই জন্য ধানমন্ডিবাসীর মতামতকে উপেক্ষা করে রাতের আঁধারে এই গাছগুলো কাটা হয়েছে। আমরা বৃক্ষ সংরক্ষণ আইনের দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বৃক্ষ নিধন বন্ধে নিম্নে ৩টি প্রস্তাবনা এবং ১২টি দাবী তুলে ধরা হয়ঃ
প্রস্তাবনা-
১. বৃক্ষশুমারী
নগর এলাকাসমূহের পাশাপাশি সকল সড়ক ও মহাসড়ক-এ বৃক্ষশুমারী পরিচালনা এবং বৃক্ষ সংক্রান্ত ডাটাবেজ প্রণয়নের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক প্রকল্প বা কর্মকাণ্ডের অজুহাতে বৃক্ষ কর্তন নিয়ন্ত্রণ করা।
২. নগর সবুজায়ন নীতিমালা ও কৌশলপত্র প্রণয়ন
পরিকল্পিত বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে নগর সবুজায়ন, যথাস্থানে যথোপযুক্ত বৃক্ষ রোপণ, হিট আইল্যান্ড এফেক্ট প্রতিরোধ এবং বৃক্ষ কর্তন রোধকল্পে নগর সবুজায়ন নীতিমালা ও কৌশলপত্র প্রণয়ন করতে হবে যা নগর সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে।
৩. ফুটপাথ পুনঃবিন্যাস, বৃক্ষ সংরক্ষণ ও রোপণ
যে কোন সড়কে, পুরো পথচারী চলার পথটি ২ ভাগে বিভক্ত করা যায়:
ফুটপাথ: এখানে, ফুটপাথ হল ৩-মিটার প্রশস্ত নিরবচ্ছিন্ন লেন। ফুটপাথের নিচে একটি সাধারণ ইউটিলিটি ডাক্ট স্থাপন করা হবে।
সাইডওয়াক: সাইডওয়াক হল প্রায় ২ মিটার চওড়া Soft Paved এবং Soakable একটি লেন যেখানে পথচারীদের জন্য বিভিন্ন ইউটিলিটি প্রদান করা হবে। বিদ্যমান গাছের উপর নির্ভর করে সাইডওয়াক ভবনের সীমানার পাশে বা সড়কের ক্যারেজওয়ের কাছাকাছি হতে পারে।
দাবীসমূহ
১. পরিকল্পনাহীনভাবে সড়কদ্বীপে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে।
২. স্থানীয় প্রজাতির বৃক্ষ দ্বারা ইতোমধ্যে কেটে ফেলা গাছ প্রতিস্থাপন করতে হবে।
৩. রোপণকৃত গাছের সঠিক সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।
৪. নগরে বনায়ন, গাছ রক্ষা ও কাটার প্রয়োজনে সুনির্দিষ্ট বিধিমালা ও কৌশলপত্র প্রণয়ন করতে হবে।
৫. যেকোনো প্রকল্প গ্রহণে আইনগতভাবে অবশ্য করণীয় পরিকল্পনা ও সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
৬.বৃক্ষ নিধন হয় এরকম যেকোন প্রকল্পে অংশীজন-সভার মত অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী ও বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের মতামত গ্রহণ আবশ্যকীয় করতে হবে।
৭. বিদ্যমান গাছ ও সবুজকে যথাসম্ভব অক্ষুণ্ণ রেখে উন্নয়ন প্রকল্প পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
৮. নগর এলাকায় গাছ কাটার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
৯. অবকাঠামোগত ও নগর উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রকৃতিভিত্তিক উন্নয়নকে প্রাধান্য দিতে হবে।
১০. বিদ্যমান আইনে বৃক্ষ নিধন বন্ধে আরো কঠোর শাস্তির বিধান আরোপ করতে হবে।
১১. উপযুক্ত বৃক্ষশুমারীর মাধ্যমে বিদ্যমান বৃক্ষের সংরক্ষণ ও নতুন বৃক্ষ রোপণের কৌশল নির্ধারণ নিশ্চিত করতে হবে।
১২. জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চল রক্ষায় সাম্প্রতিক সময়ে গৃহীত সরকারী পদক্ষেপের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।