রাস্তা কেটে কালভার্টের নির্মান কাজে ডাইভারশন সড়ক, ভোগান্তিতে কয়েক’শ কৃষক

ইফতেখার শাহীন, বরগুনা: বরগুনায় ঠিকাদারের বিরুদ্ধে জনগনের চলাচলের রাস্তা কেটে কালভার্টের নির্মান কাজে ডাইভারশন সড়ক করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ভোগান্তিতে আছেন এলাকার প্রায় কয়েক’শ কৃষক।

বরগুনা সদর উপজেলার এম বলিয়াতলী ইউনিয়নের বানাই এলাকায় এলজিইডির তত্বাবধানে একটি কালভার্ট নির্মান কাজের ঠিকা চুক্তি পায় আশ্রাফুল এন্টারপ্রাইজ। ওই কালভার্ট নির্মান কাজ করতে গিয়ে জনগনের চলাচলের সরকারী রাস্তা ও জনগনের রেকর্ডিয় জমির মাটি কেটে একটি ডাইভারশন সড়ক করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কালভার্ট নির্মান কাজ শেষে ডাইভারশন সড়কের ওই মাটি দিয়ে পুনরায় রাস্তা বেঁধে দেয়া ও জমির খানাখন্দ মাটি দ্বারা ভরাট দিয়ে দিবেন বলে এলাকাবাসি ও জমির মালিকের সাথে কথা দিয়েছিলেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী জামাল হোসেন। পরবর্তীতে কালভার্ট নির্মান কাজের শেষে এলাকাবাসির কাছে দেয়া ওয়াদা পুরন না করে ডাইভারশন সড়কের ওই মাটি বিক্রি করে দেয় ঠিকাদার জামাল হোসেন।

ব্রীজের পার্শ্ববর্তী বানাই এলাকার কৃষক আলমগীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, কালভার্টের কাজ চলমান অবস্থায় পার্শ্ববর্তী আমার ২০ শতক সরল জমির মাটি কেটে ডাইভারশন রোড করে ঠিকাদার জামাল হোসেন। ওই জমিতে আমার খিরই, শশা, কুমড়া ছিলো। কালভার্টের কাজ চলাকালিন সময়ে প্রায় দুই বছর পর্যন্ত আমি জমি চাষাবাদ করতে পারিনি। সরকারী কাজ তাই আমি বাঁধা দেইনি। ব্রীজের কাজ শেষ হলে কৃষকের চলাচলের রাস্তা ও আমার জমির মাটি যা ডাইভারশন রোডে দেয়া হয়েছিলো সেই মাটি ঠিকাদার বিক্রি করে দেয়। অথচ ওই মাটি দিয়েই পুনরায় রাস্তা বেঁধে ও আমার জমি ভরাট দেয়ার কথা দিয়েছিলো ঠিকাদার। মাটি বিক্রির সময় আমি বাঁধা দিলে ঠিকাদারের লোক দুলাল আমাকে ভেকু দিয়ে চেপে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। যার ফলে আমি আর কথা বলার সাহস পাইনি। আমি যে কিভাবে এখন জমি চাষ করবো তা একমাত্র আল্লাহই জানেন, কারন একেতো জমি খানাখন্দে ভরা অন্য দিকে খোয়া এবং পাথরে গিজ গিজ করছে। এছাড়া যে রাস্তা কাটা হয়েছে ওই রাস্তা দিয়ে অনেক কৃষকরা মাঠে নামতো চাষাবাদ করার জন্য। রাস্তা কেটে ফেলায় তাদের এখন বেহালদশা।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার জামাল হোসেনেকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।

জানতে চাইলে এলজিইডির সদর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম বলেন, এ  বিষয়ে আমি কোন অভিযোগ  পাইনি, অভিযোগ পেলে সরেজমিনে তদন্ত করে এর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts