দীর্ঘ দুই থেকে ১০ বছর সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ভারতে পাচার হওয়া ৪০ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেলে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন।
ফেরত আসাদের মধ্যে ২০ জন কিশোর ও ২০ জন কিশোরী রয়ে়ছে। সাজাভোগের পর পশ্চিমবঙ্গের ১২টি শেল্টার হোমের হেফাজতে ছিলেন তারা।
ফেরত আসা জুলেখা খাতুন বলেন, ‘আমরা দালালদের মাধ্যমে সীমান্ত পথে ভালো কাজের আশায় ভারতে পাড়ি জমাই। এরপর বাসাবাড়িতে কাজ করার সময় ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ করেছি। এরপর সেখানে বিভিন্ন শেল্টার হোম আমাদের আশ্রয় দেয়। পরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শেল্টারহোম থেকে আজ (বৃহস্পতিবার) দেশে ফিরেছি। ভারতের বিভিন্ন শেল্টার হোমে আমাদের বয়সী অনেক বাংলাদেশি নারী ও শিশু আছেন। তারা দেশে আসার অপেক্ষায় রয়েছে।
কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম (দ্বিতীয় সচিব রাজনৈতিক) বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় আজ এ সমস্ত নারী ও শিশুদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব বলেন, ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরীদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, রাইটস যশোর ও মহিলা আইনজীবী সমিতি তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।