ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এস. এম নাজিয়া সুলতানা (ডব্লিওটিও উইং) মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকালে বারডেম হাসপাতালে মারা যান তিনি।
৩০তম বিসিএস-এর এই কর্মকর্তা আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এবং ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত দুইদিন যাবত বারডেম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
নাজিয়া সুলতানার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
এক শোকবার্তায় বাণিজ্যমন্ত্রী ও সিনিয়র সচিব মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী শোকবার্তায় বলেন, নাজিয়া সুলতানা অত্যন্ত মেধাবী ও চৌকস কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি তার উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার থাকাকালীন অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, নাজিয়া সুলতানার অকাল মৃত্যুতে আমরা একজন সৎ ও যোগ্য কর্মকর্তাকে হারালাম।
সিনিয়র সচিব তার শোকবার্তায় বলেন, নাজিয়া সুলতানা ছিলেন একজন দক্ষ ও কর্তব্যপরায়ণ কর্মকর্তা। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
দেশে এ বছর মারাত্মক আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের হার কমছেই না। দেশে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে ১৮৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৭ হাজার ৪৬৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৪ হাজার ৩৯৫ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ৬৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ২৭০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ২১ হাজার ১৮৭ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৪ হাজার ৮৩ জন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ২৭০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ২১ হাজার ১৮৭ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৪ হাজার ৮৩ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৭ হাজার ৬২২ জন। ঢাকায় ১৬ হাজার ৬৬৪ এবং ঢাকার বাইরে ১০ হাজার ৯৭৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।