এফইজেবি চেয়ারম্যান প্রয়াত কামরুল ইসলাম চৌধুরীর স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের (এফইজেবি), চেয়ারম্যান প্রয়াত কামরুল ইসলাম চৌধুরী স্মরণে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এফইজেবির নির্বাহী কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার (৩১ জুলাই) অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা এদেশের পরিবেশ সাংবাদিকতায় কামরুল ইসলাম চৌধুরীর বলিষ্ঠ ও বহুমাত্রিক অবদানের কথা তুলে ধরেন। সেইসঙ্গে এফইজেবিকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করার উপর জোর দেন।

এফইজেবি চেয়ারম্যান ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী গত ২ মে ইন্তেকাল করেন।

এফইজেবির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বদিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এফইজেবির সাধারণ সম্পাদক হাসান হাফিজ, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, সাংবাদিক নেতা আবদুল জলিল ভূঁইয়া, কাদের গনি চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ অরুণ কর্মকার, সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, মফিজুর রহমান, বখতিয়ার রানা,অদিতি রহমান, শাহনাজ রিতা ও শামীমা চৌধুরী।

সাইফুল আলম কামরুল ইসলাম চৌধুরীসহ এফইজেবি প্রতিষ্ঠা ও বিকাশে যাঁদের অবদান রয়েছে, তাঁদের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, কামরুল ইসলাম চৌধুরীর অবদানকে তুলে ধরতে হলে সবার আগে এফইজেবিকে রক্ষা করতে হবে। তিনি দ্রুত বড় আকারে একটি স্মরণসভা আয়োজন এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। সেইসঙ্গে তিনি একটি এডহক কমিটি গঠনের পর নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তাবও দেন।

হাসান হাফিজ বলেন, এ দেশের পরিবেশ সাংবাদিকতা আর কামরুল ইসলাম এক অবিচ্ছেদ্য সত্তা। এ দেশের পরিবেশ সাংবাদিকতাকে তিনি নিয়ে গেছেন আন্তর্জাতিক পরিসরে। হাসান হাফিজ তার বক্তব্যের শুরুতে কামরুল ইসলাম চৌধুরীসহ এফইজেবির সকল প্রয়াত সদস্যকে স্মরণ করেন। তিনি প্রয়াত কামরুল ইসলাম চৌধুরীর স্মরণে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের প্রস্তাব দেন।

আবদুল জলিল ভূঁইয়া বলেন, এফইজেবি এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেখান থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আমাদের সহযোগিতা করেছেন কামরুল ইসলাম চৌধুরী। তাঁর স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখা আমাদের দায়িত্ব।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, কামরুল ইসলাম চৌধুরী স্যানিটেশন, আর্সেনিক, পলিথিন, টুস্ট্রোক ইঞ্জিন নিষিদ্ধ করাসহ পরিবেশের সকল সমস্যাকে মিডিয়াতে তুলে ধরেছেন। তাই রাষ্ট্রের প্রয়োজনে, জাতীয় প্রয়োজনে তাঁর অবদানকে তুলে ধরতে হবে।

অরুণ কর্মকার বলেন, দেশে বিদেশে কামরুল ইসলাম চৌধুরীর হাত ধরে পরিবেশ সাংবাদিকতা বিকশিত হয়েছে। তিনি পুনরায় সকলকে কর্মমুখর হওয়ার কথা বলেন।

সভার সভাপতি বদিউল আলম এফইজেবি প্রতিষ্ঠায় যাঁদের অবদান রয়েছে, তাঁদেরকেও স্মরণ করার কথা বলেন। তিনি আন্তর্জাতিক ফোরামে কামরুল ইসলাম চৌধুরীর প্রশংসনীয় ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এফইজেবি বেঁচে থাকলেই কামরুল ইসলাম চৌধুরীও বেঁচে থাকবেন।

সভায় বক্তারা সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রখ্যাত সাংবাদিক এবিএম মূসা, পৃষ্ঠপোষক সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এস এম কিবরিয়া, প্রয়াত মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়াসহ এফইজেবি’র গঠন ও প্রসারে যাঁদের অবদান রয়েছে, তাঁদেরকে স্মরণ করেন। আগামী ৬ আগস্ট পরবর্তী নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts