গাজীপুরের মহানগরীর কাশিমপুর বেক্সিমকো এলাকা থেকে ১০ জন কারখানা শ্রমিক একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে ঘুরতে যাচ্ছিলেন কিশোরগঞ্জ। পথে মাইক্রোবাসের চাকা ফেটে দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই দুই জন নিহত ও অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন, নীলফামারী সদর থানার দারোয়ানী গ্রামের রাশিদুল ইসলামের ছেলে মো. শাহ আলম (৩০)। সে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল কারখানার মেকানিক্যাল পদে চাকরি করতেন। অপরজন হলেন জুয়েল মিয়া (৩২)। তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকাল পৌনে ৭ টার দিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি উড়ালসড়কের পূর্বপাশে বাইমাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে ।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন চক্রবর্তী এলাকা থেকে আজ (শুক্রবার) সকালে আশপাশের কারখানার ১০ জন শ্রমিক একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে কিশোরগঞ্জের নিকলী হওরে বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়। সকাল পৌনে ৭ টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ি উড়ালসড়ক অতিক্রম করার পর বাইমাইল এলাকায় পৌঁছালে চলন্ত মাইক্রোবাসের চাকা ফেটে গিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কাভার্ডভ্যানের পিছনে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসে থাকা দুই যাত্রী নিহত হয়। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৮জন আহত হয়েছে। আশপাশের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি করে। কোনাবাড়ি থানা পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে রেখেছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেম জানান, মাইক্রোবাসটি আটক করা হয়েছে তবে চালককে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে সে পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।