বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে পুলিস-জনতা সংঘর্ষ। রণক্ষেত্র উত্তরপ্রদেশের মথুরা। দুপক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু ২ পুলিসকর্মী সহ অন্তত ২৪ জনের। ৫ পুলিসকর্মী সহ জখম আরও অনেকে। হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে একশো চব্বিশজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সন্ধেয়। এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে আজাদ ভারত বিধিক বিচারক ক্রান্তি সত্যাগ্রাহী নামে একটি সংগঠনের কর্মীদের জওহর বাগ থেকে জোর করে হঠাতে যায় পুলিস। পুলিসের দাবি, তিন শতাধিক আন্দোলনকারী তাদের লক্ষ করে শুরু করে ইটবৃষ্টি। হ্যান্ড গ্রেনেড ও বোমাও ছোড়া হয় বলে দাবি পুলিসের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালায় পুলিস। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর কার্তুজ, বারুদ, পয়তাল্লিশটি রাইফেল ও বেশ কিছু দেশি বন্দুক উদ্ধার করা হয়।
ঠিক কী হয়েছিল?
প্রায় দু বছর মথুরার জওহরবাগের দুশো আশি একর জমি নিজেদের দখলে রেখেছিল আজাদ ভারত বিধিক বিচারক ক্রান্তি সত্যাগ্রাহী সংস্থা। তাঁদের দাবি ছিল, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন প্রক্রিয়া বাতিল করতে হবে এবং টাকার পরিবর্তে দেশে আজাদ হিন্দ ফৌজের মুদ্রা চালু করতে হবে। এক টাকায় ষাট লিটার ডিজেল ও চল্লিশ লিটার পেট্রোল বিক্রির দাবিও জানিয়েছিল ওই সংস্থা। তবে সরকার কোনও দাবি না মানায় জওহর বাগ দখল করে চলছিল ধরনা। অবশেষে আদালত ওই জমি খালি করতে নির্দেশ দেওয়ায় বৃহস্পতিবারউচ্ছেদ অভিযান চালায় পুলিস ।
জওহরবাগ কাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে মথুরার পুলিস সুপার মুকুল দ্বিবেদী এবং ফারহা স্টেশন হাউস অফিসার সন্তোষ কুমার যাদবের।শোকস্তব্ধ মুকুলের পরিবার। ছেলেকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর মা ও বাবা।
পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় সংঘর্ষে নিহত SHO সন্তোষ কুমার পাঠকের। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব।
পুলিসের দাবি, হামলার পুরোভাগে ছিলেন সত্যাগ্রাহীদের নেতা রামবৃক্ষ যাদব ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষী চন্দন গওহর। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে পুলিস।