বৃষ্টি উপেক্ষা করে আন্দোলনে নামে রাজধানীর সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেতে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে।তবে অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ
সিজিপিএ শর্ত বাতিল করে মানোন্নয়ন পরীক্ষা নিয়ে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের দাবিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলনে নামে।
বুধবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১১টার পর শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুপুরে পুলিশের হস্তক্ষেপে নীলক্ষেত ছাড়ে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত অবরোধ শুরু করলে পুলিশ অবরোধ ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ করে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়। পুলিশের অনুরোধ না মেনে অবরোধ চালিয়ে গেলে পুলিশের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয় শিক্ষার্থীদের। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে শিক্ষার্থীদের তুলে দেয়। পরে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল দাবি নিয়ে সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যায়।
আন্দোলনে থাকা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, ‘সিজিপিএ শর্ত বাতিল করে মানোন্নয়নের মাধ্যমে প্রমোশনের সুযোগ দিতে আমরা আন্দোলন করছি। আমাদের আশ্বাস দিয়ে কোনো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। পরবর্তী বর্ষের প্রস্তুতি নিয়েছি এবং ইনকোর্স ও টেস্ট পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি। অনেকের ফল খারাপ হয়েছে। তার মানে সব বিষয়ে কেন পরীক্ষা দিতে হবে? সিজিপিএর শর্ত শিথিল করে তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দেওয়ার দাবি জানাই। কিন্তু আমাদের দাবির বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে না।’
আন্দোলনকারী ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী সুমাইয়া পারভীন বলেন, ‘আমাদের দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন করেছি। কিন্তু পুলিশ আমাদের শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করেছে, অনেকেই আহত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ ম্যামের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন। আশা করি যৌক্তিক সমাধান আসবে।’
ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রেফাতুল ইসলাম বলেন, ‘এক দফা দাবি নিয়ে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। সাত কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদল সাত কলেজের সমন্বয়কের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনায় বসেছেন। জন ভোগান্তি ও যান চলাচল স্বাভাবিক করতে তাদেরকে নীলক্ষেত থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’