দেশের ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন পরীক্ষার্থীর। তবে ৮টি বোর্ডে পরীক্ষার্থী রয়েছে ১০ লাখ ৭ হাজার ২৪১ জন।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম দিন অুনষ্ঠিত হচ্ছে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এবার ৩টি শিক্ষাবোর্ডের প্রথম ৪টি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ফলে এসব বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২৭ আগস্ট থেকে।
পরীক্ষা উপলক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের সামনে ভিড় না করার জন্য অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ করেন।
আগামী বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এপ্রিল মাসে নেয়ার চেষ্টা থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারও আমরা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। আগের মতো চেষ্টা করব এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে নিতে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন দারিদ্র্য যেন কোনো মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। অর্থাৎ রাষ্ট্র তার দায়িত্ব নেবে। সেই প্রতিজ্ঞা বঙ্গবন্ধু করে গেছেন। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছেন। কাজেই কোনও শিক্ষার্থীর যদি এই রকম অবস্থা থাকে, যদিও আজকাল ওই রকম অবস্থা খুব কম থাকে। যেটি থাকে সেটির ব্যবস্থা আমরা করতে পারি। যে সব শিক্ষার্থীর সক্ষমতা নেই তাদের ভর্তির ব্যবস্থা করবে, টিউশন ফি ফ্রি করে দেয়া, সেটিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করবে বলে আশা করি। আর সরকারের তো উপবৃত্তি আছেই।’
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে প্রায় সব পরীক্ষার্থীই কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। আর যারা একটু দেরিতে আসেন, তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ রেজিস্টারে লিখে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হয়েছে।
প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা হচ্ছে। এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী একটি বাদে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হবে। শুধু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) পরীক্ষা ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরে নেয়া হবে।